মাকসুদা রহমান: যে কোনো উৎসবে গৃহিণীদের ব্যস্ততা বাড়ে। আর সেই উৎসব যদি হয় ঈদ, তাহলে তো কথাই নেই। ঈদ মানেই আনন্দ। এ আনন্দের জন্যই এ সময় অনেক বাড়তি কাজ করতে হয়। আর এই কাজের প্রায় পুরো দায়িত্ব পড়ে গৃহিণীর ওপর। সারা বছরই গৃহিণীকে ব্যস্ত থাকতে হয়, সে কর্মজীবী হোক কি না হোক। তারপর উৎসব-পার্বণে তার কাজের চাপ আরো বাড়ে। এসব কাজের চাপ সামলে আনন্দ করতে হলে আগ থেকেই যদি প্রস্তুতি থাকে, তাহলে দেখা যায় সব কিছু সুশৃঙ্খল হয়েছে, অথচ কষ্ট তেমন হয়নি। কোরবানির ঈদে কাজের চাপ একটু বেশি থাকে। তাই ঈদের আগে যেসব গুছিয়ে রাখা যায় তা হলো-
– ঈদের প্রয়োজনীয় বাজার-সদাই লিস্ট করে আগেই সেরে ফেলা। – কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় দা-বঁটি, বালতি, বড় বল, প্লাস্টিক সিট, চাটাই এসব প্রয়োজনীয় জিনিস আগেই সংগ্রহ করে গুছিয়ে রাখা। – কোরবানির ঈদে ফ্রিজ ব্যবহার বেশি হয়। তাই ঈদের আগেই ফ্রিজ পরিষ্কার করে রাখা। – ঈদের দিনের কিছু কিছু রান্না যেমন: সেমাই, ফিরনি, পায়েস এসব আগের দিন রাতেই সেরে ফেলা। – অতিথি আপ্যায়নের জন্য প্লেট, গ্লাস, চামচ ধুয়ে পরিষ্কার করে টেবিলে আগেই সাজিয়ে নেয়া। – ঈদের দিন রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ, মসলা আগেই গুছিয়ে রেডি করে রাখা। এভাবে সব কিছু গুছিয়ে হাতের নাগালে রাখলে ঈদের দিন বাড়তি ঝামেলা হবে না। অন্য সবার সাথে আপনিও ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারবেন।
অনেক পরিবাইে দেখা যায় সবাই ঈদের আনন্দে ব্যস্ত। আর কাজের দায়িত্ব পুরুটাই পরেছে গৃহিণীর ওপর। তিনিও যে একজন মানুষ তারও সাধ আল্লাদ আছে, একথা কেউ হয়তো খেয়াল করে না। তাই পরিবারের সবার সচেতনতা ও সহযোগিতা ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন গৃহিণীও। তা হলেই ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে প্রতিটি পরিবারে।