প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণই ছিল স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকে জেল-জুলুম সহ্য করে বাঙালিকে মুক্তির চেতনায় উজ্জীবিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ইউনেস্কোতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপন করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়োজনে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় এই ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই ভাষণ যারা প্রচার করেছে তাদের মামলা-হামলা করে হয়রানি করেছে। এই স্বীকৃতির পর যারা এই ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল, তারা এখন কোথায় মুখ লুকাবে?
এর আগে এ উপলক্ষে এ দিন দুপুর সোয়া ১২টায় রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি কলাবাগান-সায়েন্সল্যাব হয়ে শাহবাগ গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করে। পরে বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে মিলিত হয়।
শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, সব মন্ত্রণালয়ের সচিব, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নিয়েছেন। আনন্দ শোভাযাত্রায় আরও উপস্থিত আছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ।
শোভাযাত্রায় আরও অংশ নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি, শিশু-কিশোর, ক্রীড়া সংগঠক ও খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ, সংস্কৃতি কর্মী ও সংগঠক, শিল্পকলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এনজিও, স্কাউটস ও রোভার, পুলিশের সুসজ্জিত ঘোড়া, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুসজ্জিত বাদক দল, সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি এবং সর্বস্তরের জনগণ।