রোজা রেখে সারাদিনে পানি না খাওয়ায় শরীর পানিশূন্য থাকে এবং প্রচুর ক্লান্তি হয়। তাই ইফতারের সময় পানীয়ের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ইফতারে এমন পানীয় খাওয়া উচিত যাতে সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায় এবং ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে যায়। জেনে নিন এমন পাঁচ শরবতগুলো সম্পর্কে-
বেলের শরবত
১টি পাকা বেল, ৩ কাপ ঠাণ্ডা পানি, প্রয়োজনমতো চিনি ও বরফকুচি নিন। এবার বেল ভেঙে ভেতরের শাঁস বের করে নিতে হবে। চালুনি দিয়ে চেলে বেলের বীজ ফেলে দিন। এবার বেলের সঙ্গে পানি, চিনি ও বরফ মিশিয়েভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। ইফতারে পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বেলের শরবত।
তরমুজের শরবত
২ কাপ তরমুজ টুকরা, ১ টেবিল চামচ আদা কুচি, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ৪-৫টি পুদিনা পাতা, পরিমাণমতো চিনি, স্বাদমতো লবণ ও ১ কাপ পানি নিন। এবার উপকরণগুলো সব একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড হয়ে গেলে ছেঁকে নিতে হবে। শরবতের পাত্র ঢেকে ফ্রিজে রাখতে হবে। ইফতারের সময় বের করে বরফ মিশিয়ে পান করতে পারেন সুস্বাদু তরমুজের শরবত।
পুদিনার শরবত
১ মুঠো পুদিনা, ২ গ্লাস পানি, স্বাদ মতো লবণ বা বিট লবণ, ১ চা চামচ ভাজা জিরা গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১টি কাঁচা মরিচ ও প্রয়োজন মতো চিনি নিন। প্রথমে পুদিনা পাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড হয়ে গেলে ছেকে নিন। এবার পুদিনার শরবত তৈরি।
আদা-লেবুর শরবত
প্রথমে মাঝারি মাপের এক টুকরো আদা, ১টি লেবু, পরিমাণমতো চিনি, পরিমাণমতো বরফ কুচি, প্রয়োজনমতো পানি ও লবণ নিন। আদা থেতলে রস বের করে নিতে হবে। এবার শরবত তৈরির পাত্রে আদার রসের সঙ্গে লেবুর রস মেশাতে হবে। এরপর তাতে মেশান চিনি, বরফ ও সামান্য লবণ। ভালোভাবে মেশানো হলে তাতে পানি মেশান। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু আদা-লেবুর শরবত।
টক দইয়ের শরবত
৫ কাপ টক দই, ৭-৮টি পুদিনা পাতা, ২টি কাঁচা মরিচ কুচি, পরিমাণমতো ঠান্ডা পানি, ২ টেবিল চামচ চিনি, প্রয়োজনমতো বরফ কুচি ও স্বাদমতো লবণ নিন। সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর শরবতের পাত্রটি ফ্রিজে রেখে দিন। পরিবেশনের সময় ওপরে সামান্য বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা টক দইয়ের শরবত।
কলা-দুধের শরবত
৪টি পাকা কলা, ১ গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ, ১ কাপ ঠাণ্ডা পানি, ৪ টেবিল চামচ চিনি নিন। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করলেই তৈরি সুস্বাদু কলা-দুধের শরবত।
বাদামের শরবত
আধা কাপ কাঠ বাদাম বা পেস্তাবাদাম বাটা, ২ কাপ তরল দুধ, ১ কাপের ৩ ভাগের ২ ভাগ চিনি, এক চিমটি জাফরান, ১ টেবিল চামচ পেস্তাবাদাম কুচি নিন। এবার একটি পরিষ্কার পাত্রে দুধ গরম দিন। তাতে মেশান জাফরান ও পেস্তাবাদাম কুচি। এরপর দিন বাদাম বাটা ও চিনি। ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। খেয়াল রাখবেন যেন দুধ উপচে পড়ে না যায়। এভাবে ৪-৫ বার বলক আসার পর নামিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হয়ে এলে ফ্রিজে রাখুন আরও কিছু সময়ের জন্য। পরিবেশনের সময় উপরে সামান্য বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন।