অনলাইন ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংকটের মধ্যেই দেড় বছরেরও বেশি সময় পর ইরানের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক পুন:স্থাপন করেছে কাতার। কাতার বলেছে, তাদের রাষ্ট্রদূতকে পুনরায় তেহরানে ফেরত পাঠানো হবে এবং দেশটি ইরানের সাথে সব ক্ষেত্রে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায়। সৌদি আরবে এক শিয়া ধর্মীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নিয়ে ইরানে সৌদি দূতাবাস ভাংচুরের পর তেহরান থেকে নিজেদের দূতাবাস প্রত্যাহার করেছিল কাতার।
এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দোহা সব ক্ষেত্রে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের (ইরান) সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চাওয়ায় কাতারের রাষ্ট্রদূত তার কূটনীতিক দায়িত্ব পালন করতে পুনরায় সেখানে ফিরবেন। তথ্য দপ্তর থেকে রাষ্ট্রদূতের ফেরার কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বা তার নাম না বলা হলেও এটা জানানো হয়েছে যে, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ আব্দুলরহমান আল থানি এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ টেলিফোনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এমন এক সময় ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের এই সিদ্ধান্তটি আসলো, যখন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইনসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে কাতারের টানাপড়েন চলছে। ওই দেশগুলো দোহার বিরুদ্ধে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানের অভিযোগ এনেছে।
-আল জাজিরা।