এবার আসছে স্টুডেন্ট লোন, মাস্টার কার্ড ও পে-ডে লোনের উপর খবরদারীঃ সব আইএস ফান্ডে যাচ্ছে ?
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকে
ব্রিটেনের সিকিউরিটি এক্সপার্ট আর এন্টিটেরোর ইউনিট স্টুডেন্ট লোন এবং শর্ট টার্ম পে-ডে লোনের ফান্ডের মাধ্যমে এবং প্রি-পেইড মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে সহজেই ফান্ড আইএস এর হাতে শুধু যাচ্ছেনা, এই ফান্ড এখন ব্রিটেনের ভিতরে নাশকতা ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমাজকে অস্তির ও ব্যাপক ধবংসযজ্ঞ চালানোর কাজে ব্যবহ্রত হবে- বলে এক রিপোর্টে জানিয়েছেন। তারা সরকারকে এই স্টুডেন্ট লোন, পে-ডে লোন এবং প্রিপেইড মাস্টার কার্ড এর লোড কন্ট্রোল করার জন্য সুপারিশ করেছেন। তাদের মতে, এর মাধ্যমে সন্তাসী ও জঙ্গিরা সহজেই ফান্ড পেয়ে যাচ্ছে এবং এই ফান্ড জঙ্গিদের হাতে যাচ্ছে, প্রিপেইড ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সহজেই ট্রান্সফার হয়ে যাচ্ছে। এক্সপার্টদের মতে, জঙ্গিরা এখন আর জিহাদি ব্রিটেন থেকে সিরিয়া নেয়ার জন্য যতোটা না তৎপর, তার চেয়ে বেশী আরো পরিকল্পিতভাবে তারা ব্রিটেন থেকে ফান্ড কালেকশনের মাধ্যমে সহজেই সেই ফান্ড জঙ্গি কার্যক্রমের ডিভাইস সহ নাশকতামূলক কর্মকান্ডে ব্যবহার করার পরিকল্পণা করছে বলে তারা মতামত দিয়েছেন। স্টুডেন্ট লোন এবং পে-ডে লোন বা প্রি-পেইড ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফান্ড লোডেড করা সহজ এবং তার জন্য ক্রেডিট স্কোরের প্রয়োজন পড়েনা আর ব্রিটেনের ভিতরে থেকে নাশকতা চালানোর জন্য বড় ধরনের টেরর ফান্ডের প্রয়োজন নেই।
আজকের রিপোর্টে যদিও বলা হয়েছে, সেভারেল লোনের বিষয় তারা অবগত হয়েছেন কিন্তু কোন কোন কোম্পানী সেই ফান্ড দিচ্ছে, তা প্রকাশ করা হয়নি বা জানা যায়নি।
ব্রিটেনের মোস্ট সিনিয়র এন্টিটেরোর গ্রুপের মেট্রোপলিটন পুলিশের এসিস্ট্যান্ট কমিশনার মার্ক রাওলি বলেন, “এখন জঙ্গিরা আর জিহাদের জন্য সিরিয়া যাওয়ার প্রয়োজন মনে করছেনা, সিরিয়ার আইএস জঙ্গিরাও তাদেরকে সিরিয়া না গিয়ে ব্রিটেনের ভিতরে থেকে যাতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে পারে, সেই পরিকল্পণাই দিচ্ছে”।
এই গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টটি তৈরি করেছেন নিউ রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইন্সটিটিউট এবং এর অথর হচ্ছেন টম কিটিংস। তিনি বলেন, “জঙ্গি জহাদিদের জন্য ব্রিটেনের ভিতরে স্টুডেন্ট লোন এবং পে-ডে লোন ও প্রি-পেইড ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফান্ড সংগ্রহ করা একেবারেই সহজ এক পদ্ধতি “।
টম আরো যোগ করেন, ইউরোপীয়ান জিহাদিদের জন্য জঙ্গী বা বোম্বিং এর জন্য স্বল্প পরিমাণের জিহাদি ফান্ডই যথেষ্ট – যার প্রমাণ আমরা পাই গত জুলাই ৭-এর বোমাবিস্ফোরনে মাত্র ৮,০০০ পাউন্ড তারা খরচ করেছিলো, যা তারা স্টুডেন্ট বা পে-ডে বা প্রি-পেইড ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সহজেই ট্রান্সফার করেছিলো।
এমনকি ২০১২ সালে কোর্ট অবহিত হয়েছিলেন এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ পে-ডে লেন্ডারের মাধ্যমে এধরনের টেরর গ্রুপের ফান্ড সংরহের খবর জেনেছিল।
টম কিটিংস তার এই হাই প্রোফাইল রিপোর্টে ইসলামিক ষ্ট্যাট-আইএসর সম্পর্কে এধরনের ফান্ড সংগ্রহের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করে স্টুডেন্ট লোন, পে-ডে লোন, প্রি-পেইড ক্রেডিট কার্ড লোডিং কন্ট্রোলের সুপারিশ করেছেন, যেহেতু তারা এখন জিহাদিদেরকে নিজ দেশে অবস্থান করে সুইসাইড মিশন সহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছে।
18th August 2015, London