পুলিশের সাথে তর্ক করলে অথবা গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা লঙ্ঘনের মত ছোটোখাটো অপরাধ করলেও বিদেশীদের বহিষ্কারের প্রশ্নে সুইজারল্যান্ডে আজ (রোববার) গণভোট হচ্ছে।
এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়লে দশ বছরে দুবার এ ধরণের অপরাধ করলে বিদেশীদের বহিষ্কার করা যাবে। আপীলের কোনও সুযোগ থাকবে না।
সুইজারল্যান্ডে বর্তমান আইনে শুধু হত্যা এবং ধর্ষণের মত অপরাধে বিদেশীদের বহিষ্কার করা যেতে পারে। গণভোটের জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছিলো দক্ষিণপন্থি সুইস পিপলস পার্টি।
অস্বস্তি থাকলেও অভিবাসন নিয়ে সুইসদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মাঝে সরকার শেষ পর্যন্ত এই গণভোটের অনুমোদন দেয়।
সুইজারল্যান্ডে কমবেশি বিশ লাখ বিদেশী বসবাস করে। তারা এই গণভোটে অংশ নিতে পারছেন না।
তবে এই প্রস্তাবের বিরোধীরা বলছে, গণভোটে এই প্রস্তাব যদি পাশ হয়, তাহলে সুইজারল্যান্ডে দুই স্তরের বিচার ব্যবস্থা কায়েম হবে। আইনসিদ্ধভাবে এবং স্থায়ীভাবে যে সব বিদেশী সুইজারল্যান্ডে বসবাস করছে তাদের প্রতি চরম অবিচার করা হবে।
কিন্তু সুইস পিপলস্ পার্টি এবং তাদের সমর্থকরা বলছে, বিদেশীদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা সমাজকে হুমকিতে ফেলছে। সুইজারল্যান্ডে জেলখানাগুলোতে বিদেশীদের তুলনামূলক সংখ্যাধিক্যের বিষয়টি তুলে ধরছে তারা।
বিভিন্ন জনমত জরীপে বলা হচ্ছে গণভোটের ফলাফল যে কোন দিকেই যেতে পারে।
জেনেভা থেকে বিবিসির সংবাদদাতা ইমোজেন ফুকস্ লিখছেন, প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়লে বিদেশীদের ব্যাপারে পুরো ইউরোপর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের আইন হবে সবচেয়ে কঠোর।
বিবিসি বাংলা