অনলাইন ডেক্স: নেপালের উত্তরাঞ্চলে রবিবার ঐতিহাসিক নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এক দশক আগে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ অবসানের পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান ঘটবে বলে আশা করছেন দেশটির জনগণ।
নেপালে যুদ্ধ পরবর্তী একটি শান্তি চুক্তির আওতায় নতুন সংবিধানের অধীনে প্রথমবারের মতো দুই দফায় জাতীয় ও প্রাদেশিক পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০০৬ সালে এই চুক্তির মধ্য দিয়েই ১০ বছরে মাওবাদী বিদ্রোহী তৎপরতার অবসান ঘটে এবং নেপাল রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে। গত নয় বছর নেপাল ১০ বারে নয়জন প্রধানমন্ত্রীর অস্থায়ী শাসনে ছিল। কাঠমান্ডুর বিখ্যাত রাজপ্রাসাদের কাছের মুদি দোকানদার বীরেন্দ্র তেওয়ারির আশা, এবার দেশটিতে স্থিতিশীলতা আসবে।
ভোরবেলা থেকেই রাজধানী কাঠমান্ডুর পূর্বাঞ্চলে চাওতারার শহরের বাসিন্দারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য ভোটকেন্দ্রের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। নেপালের এই নির্বাচনে মুখোমুখি লড়াই করছে দুটি জোট। শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বে নেপাল কংগ্রেস পরিচালিত ‘গণতান্ত্রিক জোট’ বনাম কে পি অলির কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউএমএল) এবং পুষ্পকমল দাহালের ওরফে প্রচন্ডের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি অব মাওয়িস্ট সেন্টারসহ বাম দলগুলোর মঞ্চ ‘বাম জোটে’র মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। নেপালের অন্যতম প্রধান এই দুটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনী জোট গঠনের মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধ অভিন্ন দল গঠনেরও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস ও দুই কমিউনিস্ট পার্টি পালাক্রমে নেপালের ক্ষমতার অধিকারী হয়েছে। নতুন সংবিধানে নেপালকে ফেডারেল অর্থাৎ সাতটি প্রদেশে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়া হিন্দু রাষ্ট্র থেকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণার পর দেশটিতে এটাই প্রথম নির্বাচন। এবারই প্রথম নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতির ভিত্তিতে দুই দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম দফায় আজ ৩২টি জেলায় এবং দ্বিতীয় দফায় আগামী ৭ ডিসেম্বর ৪৫টি জেলায় ভোট হবে। নেপালে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫৪ লাখ।