অনলাইন ডেস্ক:বসনিয়ার কসাই হিসেবে কুখ্যাত রাতকো ম্লাদিচকে মুসলিম গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত জাতিসংঘ ট্রাইব্যুনাল। সারায়েভেো অবরোধ ও ১৯৯৫ সালের স্রেব্রেনিকা গণহত্যার নেতৃত্ব দেন ম্লাদিচ যাতে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়।
১১টি অভিযোগের ১০টিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে জাতিসংঘ ট্রাইব্যুনাল। রায় পড়ে শোনানোর সময় চিৎকার করার জন্য ম্লাদিচকে আদালত থেকে বের করে দেয়া হয়। তার আইনজীবীরা উচ্চরক্তচাপের কথা বলে আদালতের কাজ বন্ধ করার আবেদন জানালেও তা গ্রহণ করেনি ট্রাইব্যুনাল।
২০১২ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দ্য ফরমার যুগোস্লাভিয়ায় বিচার চলছে ম্লাদিচের যা এই ট্রাইব্যুনালের শেষ বিচার কাজ। ১৯৯৫ সালের স্রেব্রেনিকা গণহত্যায় ৭ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর নিহত হয়। সারায়েভো অবরোধের সময় নিহত হয় আরো ১০ হাজার মানুষ।
১৯৯৫ সালে যুদ্ধশেষে পালিয়ে যান ম্লাদিচ এবং পরিবার ও সার্ব সেনাবাহিনীর কিছু অংশের সহায়তায় আত্মগোপনে থাকেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ গঠন করা হলেও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। ১৬ বছর পলাতক থাকার পরে সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চলে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ২০১১ সালে গ্রেফতার করা হয়।
রায় পড়ার শুরুতে হাস্যমুখে বসেছিলেন ম্লাদিচ এবং ক্যামেরার সামনে তাকে বেশ ভারমুক্ত মনে হয়েছিল। রায়ঘোষণাটি স্রেব্রেনিকা মেমোরিয়াল সেন্টারের সামনে গণহত্যার স্বীকার হওয়া ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনরা সরাসরি দেখেছেন।