অনলাইন ডেস্ক: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আগামী ৪ বছরের জন্য বাংলাদেশকে ১২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে জাতিসংঘ।
এ লক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকা জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর আগের চুক্তিটি ছিল পাঁচ বছর মেয়াদী। এবার তা ৪ বছরের জন্য করা হয়েছে যেন তা সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য হয়। আগামী চুক্তি পাঁচ বছর মেয়াদী হবে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন সহায়তা ফ্রেমওয়ার্ক (ইউএসডিএএফ) ২০১৭-২০২০ হিসেবে পরিচিত এই চুক্তির উদ্দেশ্য হলো-এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সহায়তা করা, যা তিনটি বিষয়ভিত্তিক কার্য-ফলাফলের ওপর কেন্দ্রীভূত। এগুলো হলো- মানুষ, পৃথিবী এবং সমৃদ্ধি। এই তিন ক্ষেত্রের মাধ্যমে জাতিসংঘ বাংলাদেশের সব মানুষের সমান অধিকার, প্রবেশাধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। পাশাপাশি পরিবেশগত স্থিতিশীলতা তৈরি, মানব সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সবার অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
জাতিসংঘের ঢাকা অফিসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থার বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক সমন্বয়কারী রবার্ট ডি. ওয়াটকিল বলেন, ‘এই ফ্রেমওয়ার্কের মূল উদ্দেশ্য হলো-টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে সরকারকে সহযোগিতা করা যেন তা সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য এবং সমন্বিতভাবে কার্যক্ষম হয়। এই ফ্রেমওয়ার্কটি জাতিসংঘের সংস্থাসমূহের এসডিজি সম্পর্কিত কাজের অগ্রাধিকার তৈরি এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য একটি পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। একই সঙ্গে এই ফ্রেমওয়ার্ক ভিশন ২০২১ এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পর্কিত।’
তিনি বলেন, এই নতুন ফ্রেমওয়ার্ক বাংলাদেশ ও তার জনগণের অগ্রগতির জন্য সরকার ও জাতিসংঘের মধ্যে বন্ধন আরো দৃঢ় করেছে।
মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন, টেকসই উন্নয়ন ও সক্ষমতা, কাউকে পিছনে ফেলে এগিয়ে না চলা, এক দায়িত্ববোধ এই বিষয়গুলো জাতিসংঘের নিয়ম, মানদণ্ড এবং নীতি থেকে উদ্ভূত মূল কার্যক্রমের উপাদনের মধ্যে রয়েছে। এই মূল উপাদানগুলো পরিষ্কারভাবে এই নতুন ফ্রেমওয়ার্কে প্রতিফলিত হয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাউদ্দিন জাতিসংঘের সংস্থাসমূহকে বাংলাদেশের উন্নয়ন বৃদ্ধিতে তাদের কারিগরি ও কর্মসূচিগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য এই নতুন ফ্রেমওয়ার্ককে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, দ্রুত প্রাথমিক পদ্ধতিগুলো তৈরি হলে যথা সময়ে কার্য বাস্তবায়ন ও তহবিল কার্যক্ষম করা যাবে।
এই চুক্তিটি জাতিসংঘের সংস্থাসমূহের মধ্যে অংশীদারিত্ব সহজীকরণ করা যা তাদের তুলনামূলক সুবিধার ওপর অঙ্কিত। এটি জাতীয় উন্নয়ন অগ্রাধিকার সমর্থন করে এবং জাতীয় উন্নয়ন সহায়তা তৈরি করে।