গত দেড় বছরে করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নানা বদল ঘটেছে। এ সময়ে অনেক কোম্পানি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। আবার অনেক ঐতিহ্যবাহী কোম্পানিকে বন্ধ করতে হয়েছে দুয়ার। সম্প্রতি গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত আগস্টের বাজার মূলধনের ভিত্তিতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ১০ কোম্পানির ৭টিই যুক্তরাষ্ট্রের। এ ছাড়া শীর্ষ দশের মধ্যে সৌদি আরব, তাইওয়ান ও চীনের একটি করে কোম্পানি আছে।
অ্যাপল: গত বছর বিশ্বের প্রথম মার্কিন কোম্পানি হিসেবে দুই ট্রিলিয়ন (১ ট্রিলিয়নে ১ লাখ কোটি) মার্কিন ডলারের বাজার মূলধনের রেকর্ড ছুঁয়েছিল প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। প্রথমে ২০১৮ সালে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে অ্যাপল। এর মাত্র দুই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ২ ট্রিলিয়ন হয়ে যায়। চলতি বছরের আগস্ট শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৪০ ট্রিলিয়ন ডলার।
মাইক্রোসফট: দ্বিতীয় মার্কিন কোম্পানি হিসেবে গত বছর ২ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়ায় আরেক প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট। কোম্পানিটির বাজার মূলধন এখন ২ দশমিক ১৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
সৌদি আরামকো: অ্যাপল মাইক্রোসফটের আগেই বাজার মূলধনে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে যায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো। ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে নাম লিখিয়েই এ উচ্চতায় পৌঁছে যায় কোম্পানিটি। গ্লোবাল ফাইন্যান্স-এর এ বছরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৮৬ ট্রিলিয়ন ডলারে।
অ্যালফাবেট: বৈশ্বিক সার্চ জায়ান্ট গুগলের মূল মালিকানা কোম্পানি অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের বাজার মূলধন ১ দশমিক ৮০ ট্রিলিয়ন ডলার।
আমাজন: ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন আছে পাঁচ নম্বরে। মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের এই কোম্পানির বাজার মূলধন ১ দশমিক ৬৮ ট্রিলিয়ন ডলার।
তালিকায় এরপরই আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। এ বছরের জুলাইয়ে ফেসবুকের বাজার মূলধন ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ালেও শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় এখন বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৯৯২ বিলিয়ন বা ৯৯ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলারে। মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও বর্তমান শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলার বাজার মূলধন গত আগস্ট শেষে দাঁড়িয়েছে ৭০৩ বিলিয়ন বা ৭০ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারে। আর বিনিয়োগ গুরু ওয়ারেন বাফেটের কোম্পানির বাজার মূলধন ৬৩ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। তাইওয়ানের কোম্পানি সেমি কনডাক্টরের বাজার মূলধন ৬০ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। আর শীর্ষ ১০-এর তালিকায় থাকা চীনের একমাত্র কোম্পানি টেনসেন্টের বাজার মূলধন ৫৯ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার।