মসুল এখন চারদিক থেকে ঘেরাও করে ফেলেছে ইরাকী এবং কুর্দী বাহিনি। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে শিয়া মিলিশিয়ারা।
ইসলামিক স্টেট এখন কার্যত এই শহরে অবরুদ্ধ। কিন্তু নিজেদের এই শক্ত ঘাঁটি ধরে রাখতে ইসলামিক স্টেট জঙ্গীরা এখন ভেতরে চরম নৃশংসতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ মুখপাত্র রাবিনা শামডাসানি জানিয়েছেন, জঙ্গীরা সেখানে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। এদের মধ্যে আছে তাদের দলত্যাগী অনেক সদস্য। আছে ইরাকের অনেক সাবেক কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। ছোট ছোট শিশুদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে শিশু সৈনিক হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য।
রাবিনা শামডাসানি জানিয়েছেন, গত সোমবার মসুলের গাযলানি সামরিক ঘাঁটিতে ইসলামিক স্টেট তাদের দল ছেড়ে যাওয়া ৫০ জনকে হত্যা করেছে।
এর আগে বুধবার তারা কোকজালি শহর ছেড়ে যাওয়ার আগে সেখানে ১৮০ জনকে হত্যা করে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশ্বস্ত সূত্রে তাঁরা জানতে পেরেছেন, হাম্মাম আল আলিল শহর থেকে জঙ্গীরা প্রায় এক হাজার ছয়শো বেসামরিক মানুষকে জিম্মি করে আল তাফার শহরে নিয়ে গেছে। এদেরকে এখন মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
সেখানে জঙ্গীরা নাকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদেরকে, বিশেষ করে নয় বছরের বেশি বয়সী ছেলেদের তাদের হাতে তুলে দিতে বলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এদেরকে শিশু সৈনিক হিসেবে ব্যবহার করবে ইসলামিক স্টেট।
রাবিনা শামসাডানি বলেছেন, যারা কথা শুনছে না, তাদের কঠিন পরিণামের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
তেল আফারে প্রায় চারশো কুর্দী, শিয়া এবং ইয়াজিদি মহিলাকেও ইসলামিক স্টেট আটকে রেখেছে বলে জানা গেছে।
বিবিসি