অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ৩৫ কূটনীতিক বহিষ্কারের ‘উপযুক্ত’ জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। খবর বিবিসি, রয়টার্সের
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার সন্দেহে বৃহস্পতিবার ৩৫ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
একই সঙ্গে মেরিল্যান্ড এবং নিউইয়র্কে গোয়েন্দা তথ্য কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত দুটি রুশ কম্পাউন্ডও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া রুশ গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়টি সংস্থা ও ব্যক্তির ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ওবামা প্রশাসনের শেষ দিনগুলোতে নেয়া নতুন এ সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এল যখন সিরিয়া ও ইউক্রেইন নিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের পর সবচেয়ে তলানিতে ঠেকেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের পাল্টা জবাবের ঘোষণা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ক্রেমলিন যে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের অস্বস্তিতে পড়বে।
তিনি জানান, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর আগে এমন সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন পেসকভ।
তিনি আরও জানান, ক্রেমলিন ওবামা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের পাল্টা পদক্ষেপ নেবে। তবে এজন্য তাদের মধ্যে কোনো ‘তাড়াহুড়ো’ নেই।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ওবামা নিয়েছেন, আর তিন সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্প দেশটির প্রধান হবেন; সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এগুলোকেও অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে।’
নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর থেকেই ডেমোক্রেট শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার টানাপোড়েন চলছিল।
এরই মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এমন পদক্ষেপ নিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সব মার্কিন নাগরিকেরই সচেতন থাকা উচিত।
সেই সঙ্গে মার্কিন বিশেষজ্ঞদেরও রুশ সাইবার হামলার ঝুঁকি চিহ্নিত করা এবং তা থেকে রেহাই পাবার উপায় খোঁজার আহ্বান জানান তিনি।