অনলাইন ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমরা সন্ত্রাসবাদী নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে হত্যা-নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে জাতিসংঘের আবেদনও সমর্থন করেছেন তিনি।
রাজনৈতিক মতপার্থক্য সরিয়ে রেখে বিপন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এ আহ্বানকে সমর্থন করে শুক্রবার মমতা এক টুইটে বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে জাতিসংঘের আবেদন সমর্থন করি আমরা। সব সাধারণ রোহিঙ্গা সবাই সন্ত্রাসবাদী নয় বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাদের জন্য আমরা সত্যিই উদ্বিগ্ন।
এদিকে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) প্রধান এবং উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী প্রভু দাসও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর মধ্যেই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি ব্যক্ত করলেন মমতা ও মায়াবতী।
উল্লেখ্য, গত বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেনে ডুজারিক বলেন, রোহিঙ্গাদের বর্তমান ট্র্যাজেডির ব্যাপারে আমাদের উদ্বেগ স্পষ্ট করেই জানিয়েছি। তাদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা যে খবর পাচ্ছি, সবাই যেসব ছবি দেখছি, তা হৃদয়বিদারক বললেও কম বলা হয়।
গত ২৫ আগস্ট ভোররাতে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সীমান্ত পুলিশের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সংঘর্ষ হয়।
এর জের ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো লক্ষ্য করে অভিযান চালাচ্ছে। ফলে ব্যাপকসংখ্যক রোহিঙ্গা হত্যা-ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়।
জাতিসংঘ বলছে, এ অভিযানকালে তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে এবং প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় চার লাখ মানুষ।