রোজার মাসে আমরা যতোই বাইরের খাবার না খাওয়ার কথা বলি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে প্রতিদিনই লোভনীয় সব ইফতার আইটেম বাইরে থেকেই নিয়ে আসছি। এগুলো মজা করে খাচ্ছি আবার চিন্তা করছি কি দিয়ে রান্না হলো তেল টা ভালো ছিল তো, কৃত্রিম রং বা কেমিকেল আছে! এতো চিন্তার দরকার কী? বাড়িতেই তৈরি হবে দারুণ সব রেস্টুরেন্টের ইফতার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্য অনেক ইফতারের আইটেমের মধ্যে কয়েকটি নাম করা রেস্টুরেন্টে খাসির আস্ত লেগ রোস্টের চাহিদা অনেক বেশি। হতেই হবে যে ঘ্রাণ আর স্বাদ ভোজন রসিক যে কারও জন্যই এটা উপেক্ষা করে অন্য খাবার নেয়া সত্যি কষ্টের।
যারা একটু সময় নিয়ে পরিবারের জন্য স্পেশাল কিছু করতে চান। আপনাদের জন্য এই রেসিপি।
উপকরণ: খাসির আস্ত রান ১টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, জিরা ১ চা-চামচ, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, কালো গোলমরিচ ও তেজপাতা পছন্দমতো, শুকনা মরিচ ৬টি, টকদই আধা কাপ, চিনি ১ চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী-পোস্তদানা একসঙ্গে বাটা ২ টেবিল-চামচ, দুধ দেড় কাপ, কেওড়াজল ১ টেবিল-চামচ, তেঁতুলের ক্লাথ ১ টেবিল-চামচ, ঘি ২ টেবিল-চামচ, তেল আধা কাপ, চিনি ১ টেবিল-চামচ, লবণ প্রয়োজনমতো।
প্রণালী: প্রথমে আস্ত রান কাঁটা চামচ দিয়ে কেচে নিয়ে পেঁয়াজ, রসুন আদা, জিরা, দারচিনি, তেজপাতা এলাচ ও লবঙ্গ, শুকনা মরিচ, গোলমরিচ, লবণ, টকদই, চিনি ও তেল দিয়ে মেরিনেট করে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মশলাসহ রান সেদ্ধ করুন।
পেঁয়াজ বেরেস্তা, ঘি ও তেঁতুল বাদে দুধ, জায়ফল-জয়ত্রী-পোস্তদানাসহ ওপরের অন্য সব উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে নাড়তে থাকুন। মশলা রানের গায়ে লেগে তেল উঠে এলে তেঁতুলের মাড় দিয়ে দিন। সব শেষে পেঁয়াজ বেরেস্তা ও ঘি দিয়ে নামিয়ে নিন দারুণ মজার জিভে পানি আনা খাসির আস্ত লেগ রোস্ট।