নারী ডেক্স: সাতক্ষীরায় এবার এক জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (বিচারিক হাকিম) ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাতক্ষীরা জজ কোর্টের দেবহাটা আদালতের দায়িত্বে রয়েছেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুল ইসলামের শহরের পলাশপোলস্থ ভাড়া বাসা থেকে নির্যাতিত দশ বছর বয়সী কাজের শিশুকে পুলিশ মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। শিশুটির নাম বিথী। সে ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বড় আমিনীয়া গ্রামের গোলাম রসুলের মেয়ে।
সাতক্ষীরার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার সাঈদ জানান, বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদে তারা জানতে পারেন, গৃহকর্তা ও সাতক্ষীরা আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাতাশা তাদের বাসায় থাকা কাজের শিশুটিকে প্রায়ই নির্যাতন করেন। বুধবার দুপুরেও মেয়েটিকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা বাসার দরজা খোলেননি। পরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নিতাই চন্দ্র সাহা ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শিমুল কুমার বিশ্বাস আসার পর পুলিশ ওই বাসায় ঢুকে মেয়েটিকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। মেয়েটির মাথার চুল কাটা ছিল এবং হাতে, পিটে ও নিতম্বে আগুনে ছ্যাকাসহ একাধিক স্থানে ক্ষত দেখতে পান সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নিতাই চন্দ্র সাহা সেখানে থেকে হাসপাতালেও যান। তিনি এধরনের ঘটনাকে অনাকাঙ্খিত উল্লেখ করে বলেন, শিশুটির সব ধরনের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিত্সক পরিমল কুমার বিশ্বাস জানান, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের কল করা হয়েছে।