অনলাইন ডেস্ক: প্রবীণ রাজনীতিক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার এক বিবৃতিতে তারা এ শোক প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তার আত্মার শান্তি কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শুধু একজন রাজনীতিকই ছিলেন না, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নেও তিনি অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। সংসদীয় রাজনীতিতে তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অতুলনীয়।
রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় বলেন, বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতিতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। তার মৃত্যুতে দেশ একজন দক্ষ রাজনীতিবিদকে হারালো; এই ক্ষতি অপূরণীয়।
তিনি সুরঞ্জিতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে যা সহজে পূরণ হবার নয় ।
শেখ হাসিনা বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে জাতি হারালো একজন দেশ প্রেমিক রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ হারালো একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান, আর আমরা হারালাম সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামের একজন অগ্রসৈনিককে।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। বৃহস্পতিবার অসুস্থবোধ করায় শুক্রবার সকালে তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার ফুসফুসের সংক্রমণ হয়েছে বলে শনাক্ত হয়। শনিবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। রবিবার ভোর ৪টা ২৪ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম জাতীয় সংসদসহ মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তিনি রেলমন্ত্রী হন। তবে তার সহকারীর অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে তিনি পদত্যাগ করলেও তা গ্রহণ না করে সেই সময়ে তাকে মন্ত্রী হিসাবে রাখেন শেখ হাসিনা।