অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে ইউরোপে থাকবে কিনা সে বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোট দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার দেশটির উচ্চ আদালত জানিয়েছে, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে সরকারকে পার্লামেন্টের অনুমতি নিতে হবে।
লিসবন চুক্তির আলোকে গঠিত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ান। এই চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নিজ দেশের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী যেকোনো সদস্য রাষ্ট্র জোট থেকে সরে যেতে পারে।
থেরেসা মে জানান, পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোট দেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এ বিষয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। সোমবার এবিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়ার কথা রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, থেরেসা মে কোনোভাবেই এই সিদ্ধান্তে দেরী করতে রাজি নন।
অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বিষয়টিকে সংসদে উত্থাপনের জন্য আহ্বান জানান।
ব্রেক্সিট নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ব্যবসায়ী জিনা মিলার। বৃহস্পতিবার রায়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেন, ‘ব্রিটিশ সংবিধানের সবচেয়ে মৌলিক আইন হচ্ছে পার্লামেন্ট স্বাধীন প্রতিষ্ঠান এবং এটি চাইলে যে কোনো আইন তৈরি করতে ও বাদ দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘রাজকীয় বিশেষ অধিকার বলে আর্টিকেল ৫০ অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যকে প্রত্যাহার করার ক্ষমতা সরকারের নেই।’
এদিকে এ রায় পাওয়ার পর আপিলের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।