অনলাইন ডেস্ক :সেনা ইউনিটগুলোতে বিদায়ী পরিদর্শন শুরু করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ। সেনাবাহিনী প্রভাবিত দেশটির সবার দৃষ্টি এখন কে হচ্ছেন পরবর্তী সেনাপ্রধান।
অবসর নেয়ার এক সপ্তাহ আগে সেনাপ্রধান বিদায়ী পরিদর্শন শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের পরিচালক আসিম বাজওয়া।
সোমবার লাহোর সেনা ঘাঁটি পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান। সেখানে তিনি বিপুল সংখ্যা সেনা এবং রেঞ্জার্সদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
এসময় রাহিল শরিফ বলেন, ‘শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সাধারণ কাজ নয়। আমাদের সবার সম্মিলিত ত্যাগই দেশের সামনে যত বাধা-বিপত্তি আছে তা অতিক্রম করতে সহায়তা করবে।’
এর আগে জানুয়ারিতে সেনাপ্রধান রাহিলের মেয়াদ বাড়ানোর গুজব নাকচ করে দেন সেনা মুখপাত্র। তিনি বলেছিলেন, সেনাপ্রধান যথাসময়ে নভেম্বরে অবসরে যাবেন।
সাধারণত একজন তিন তারকা জেনারেলকে সেনাপ্রধান নিয়োগ দেয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। দুজনকে ডিঙ্গিয়ে ২০১৩ সালে রাহিল শরিফকে সেনাপ্রধান করা হয়েছিল।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী তিনজন জেনারেলের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে থাকেন। তিনি ওই তালিকা থেকে একজনকে সেনাপ্রধান নিয়োগ করেন।
পরবর্তী সেনাপ্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন জাতিসংঘে ডেপুটেশনে থাকা লে. জেনারেল মাকসুদ আহমেদ, চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল জুবায়ের মেহমুদ হায়াত, লে. জেনারেল ওয়াজিদ হোসাইন (এইচআইটি ট্যাক্সিলা) এবং মুলতান কর্পস কমান্ডার লে. জেনারেল ইশফাক নাদীম।
তবে এদের মধ্যে চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল জুবায়ের মেহমুদ হায়াত এবং মুলতান কর্পস কমান্ডার লে. জেনারেল ইশফাক নাদীমের সেনাপ্রধান হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
পূর্বসুরি আশরাফ কায়ানির মতো সেনাপ্রধান রাহিল শরিফের স্বাভাবিক অবসরকে সম্মানজনক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এ দুজনের কেউই তাদের মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হননি এবং দেশটির রাজনীতিতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেননি।