অনলাইন ডেস্ক: সৌদি আরবে কথিত দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে ডজন খানেক প্রিন্সসহ বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বাদশাহ সালমান এক ডিক্রির মাধ্যমে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে দুর্নীতি বিরোধী একটি কমিটি গঠন করে। এরপরই এই ধরপাকড় শুরু হয়।
এছাড়া ন্যাশনাল গার্ডের প্রধানের পদ থেকে প্রিন্স মেতিব বিন আবদুল্লাহকে সরিয়ে খালেদ বিন আইয়াফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর অর্থমন্ত্রী আদেল আল ফাকিহকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ওই মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-তোইজরিকে। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ বিন সুলতান বিন মোহাম্মদ আল সুলতানকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। নৌবাহিনীর প্রধান পদে নতুন নিয়োগ পেয়েছেন ফাহাদ আল-গাফলিকে।
ধরপাকড় ও বরখাস্তের বিষয়ে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংবাদ মাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যম আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি বিরোধী তদন্তের জন্য কমপক্ষে ১১ জন প্রিন্স, চারজন বর্তমান মন্ত্রী ও বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।
এমন এক সময়ে এই ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটল, যার মাস খানেক আগেই সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ তার ভ্রাতুষ্পুত্র মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে ছেলে সালমান বিন আবদুল আজিজকে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে দায়িত্ব দেন। নতুন প্রিন্স ইতোমধ্যে বেশকিছু সংস্কার পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। তিনি কট্টর ইসলামী নীতি থেকে সরে এসে দেশটিতে উদার ধর্মীয় নীতি গ্রহণের ঘোষণা দেন।