অনলাইন ডেক্স: ২০১৮ সালে বিশ্বের মোট ২৫৬ জন নারীর নাম উঠেছে এক শ’ কোটিপতির তালিকায়। ‘ফোর্বস’ পত্রিকার তৈরি এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন অ্যালিস ওয়ালটন। ২০১৭ সালের মতোই বিশ্বের সেরা ধনীর শিরোপা উঠল ‘ওয়ালমার্ট’ প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়ালটনের একমাত্র সন্তান অ্যালিসের মাথায়। গত এক বছরে ওয়ালমার্টের শেয়ারের দর ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় গতবারের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি পেয়ে তালিকার শীর্ষে পৌঁছলেন তিনি।
২০১৭ সালে ল’রিয়েল সম্রাজ্ঞী লিলিয়ান রেটেনকোর্ট ৯৪ বছর বয়সে মারা যাওয়ার পরে ধনী নারীদের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন অ্যালিস। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার হাজার ছয় শে’ কোটি ডলার।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন প্রয়াত লিলিয়ান বেটেনকোর্টের একমাত্র কন্যা ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট মেয়ার্স। তার সম্পত্তির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার হাজার দুই শ’ ২০ কোটি ডলার। ল’রিয়েল সংস্থায় তার ব্যক্তিগত ৩৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
তৃতীয় স্থান দখল করেছেন বিএমডব্লিউ অটো নির্মাতা সংস্থার মালিক শ্রীমতী সুজান ক্ল্যাটেন। তার সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে আড়াই হাজার কোটি ডলার।
এবারের এক শ’ কোটিপতি নারীর মধ্যে বেশিরভাগই উত্তরাধিকারসূত্রে ধনী। তবে তাদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ কিন্তু নিজের চেষ্টায় অর্থ উপার্জন করতে সফল হয়েছেন। সাফল্যের শিখরে ওঠা এমন নারীর সংখ্যা আপাতত ৭২। এটি সর্বকালের রেকর্ড। এদের মধ্যে শূন্য থেকে শুরু করে সম্পদশালী হয়েছেন এমন নারীদের বেশিরভাগই অবশ্য চীন ও আমেরিকার নাগরিক। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উইসকনসিনের বাসিন্দা ডায়না হেনড্রিক্স। যিনি তার স্বামী কেনেথের সাথে রুফিং ব্যবসা শুরু করেছিলেন। বর্তমানে আমেরিকার ধনীদের মধ্যে উদ্যোগপতি হিসেবে তিনি পরিচিত। তার বার্ষিক ব্যবসার পরিমাণ আট শ’ কোটি ডলার।
নিজ উদ্যোগে সম্পদের চূড়ায় পৌঁছেছেন হংকং-এর ঝৌ কুনফেই। ছোটবেলায় মাকে হারানোর পরে মাত্র ১৬ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে রোজগারের পথে নামতে তিনি একরকম বাধ্য হন। কারখানায় বহু বছর কাজ করার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ঘড়ির লেন্স নির্মাণ সংস্থা চালু করেন। ক্রমে মোবাইল ফোনের জন্য কাচের কভার তৈরিও শুরু করেন। বর্তমানে তার গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে অ্যাপেল ও স্যামসাং।
কৃতজ্ঞতায়: নয়াদিগন্ত।