প্রচ্ছদ কমিউনিটি সংবাদ ৯ রমজান জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের চ্যারিটি আপিলে সকলকে সহযোগিতার আহবান

৯ রমজান জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের চ্যারিটি আপিলে সকলকে সহযোগিতার আহবান

0
নারী ডেস্কঃ আগামী ৯ রমজান জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন এর লাইভচ্যারিটি ফান্ড রাইজিং। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার, পূর্বলন্ডনের এসএসবিএ হলরুমে বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যন ও বিশিষ্ট ক্যাটারার ও সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান কমিউনিটির সবাইকে মানবতার আহবানে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন এর ১৬তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান মিজান, সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেণ, । তিনি জানান, জাষ্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে। চ্যারিটি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হয় ২০০৭ সালের মার্চ মাসে। সিলেটের মিরাবাজারের আগ পাড়া জামে মসজিদের জন্য ২০০৭ সালে তারা সর্বপ্রথম সফলভাবে ২৭ লক্ষ টাকা অনুদান সংগ্রহ করে দিতে সমর্থ হন। যেটা ছিল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের জন্য কোন মসজিদের তহবিল সংগ্রহের জন্য প্রথম টিভিতে চ্যারিটি আপিল।
২০০৮ সালে বাংলাদেশে সিডর ও সাইক্লোনে আক্রান্ত মানুষদের জন্য আমরা খাদ্য, নগদ অর্থ সাহায্য ও বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল প্রদান করেছিলাম বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীর সহযোগিতায়।
২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে ছিল অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ, ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু শিহাব শাহরিয়ার ও কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হাফেজ ইকবাল এর চিকিৎসা তহবিল সংগ্রহ, সিলেট জল্লারপাড় মসজিদ ও বোরহানউদ্দিন মাদ্রাসার জন্য তহবিল হস্তান্তর।
এছাড়াও চলমান সাহায্য হিসেবে অসচ্ছল ছাত্রদের আর্থিক অনুদান, বিধবাদের সেলাই মেশিন ও অসহায় পুরুষদের রিকশা প্রদান, রমজান মাসে খাবার ও শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকে। আর ২০২০ সালে সাংবাদিক ইকবাল মনসুর এর চিকিৎসা সহযোগিতায় তারা এগিয়ে এসেছিলেন।
অন্ধজনে দেহ আলো” – এই শ্লোগানে বিশ্বাসী হয়ে তারা ২০১২ সালে ঠিক করেন তাদের প্রধান কার্যক্রম হবে সুন্দর এই পৃথিবীতে মানুষের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়া। এই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে সিলেট শহর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার অদূরে শিক্ষা ও অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর এলাকা গোয়াইনঘাটে নিজস্ব ভূমি ক্রয় করেন।সেখানে নিজস্ব ভবনে একটি চক্ষু হাসপাতাল স্থাপনের জন্য চ্যারিটি ডিনার, টিভিতে আপিল ও ব্যক্তিগত চেষ্টায় তহবিল সংগ্রহ শুরু করা হয়। অবশেষে ২০১৩ সালে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে কাজ শুরু করা হয়। ২০১৪ সালে হাসপাতালের প্রথম তলা ও ২০১৬ সালে দ্বিতীয় তলা নির্মাণ সম্পন্ন হয়। ২০১৭ সালের শুরুতে নিজস্ব ভবন থেকেই বিনামূল্যে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা ও স্বনামধন্য বার্ড হাসপাতালের সহযোগিতায় চক্ষু শিবির এর কার্যক্রম শুরু করা হয়।