আফ্রিকা অঞ্চলে দাস কেনা-বেচায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিল চার্চ অব ইংল্যান্ড। এই বিষয়েক্ষতিপূরণ দিতেও রাজি হয়েছিল। সেই ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ১০ গুণ বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে উপদেষ্টামণ্ডলী। সে অনুযায়ী তাদের জরিমানা হয় ১০ হাজার কোটি পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি।
সারা বিশ্বের অ্যাংলিকান খ্রিষ্টানদের প্রধান গির্জা চার্চ অব ইংল্যান্ড। তাদের সদস্য সংখ্যা সাড়ে আট কোটি।
১৮৩৩ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ক্রীতদাস প্রথা বিলুপ্ত করে। তবে ১৯০ বছর পরও তার রেশ চলছে ইংল্যান্ডে। দাসপ্রথা বিলুপ্ত করার পর ব্রিটিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজে দাস-মালিকদের দুই হাজার কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনো দায়মুক্তি পায়নি চার্চ অব ইংল্যান্ড।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে চার্চ অব ইংল্যান্ডকে দাসপ্রথার ভুক্তভোগীদের স্বার্থে ১০ কোটি পাউন্ড দেওয়ার পরামর্শ দেন চার্চ কমিশনাররা। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, ৯ বছরে এই অর্থ বিনিয়োগ করার কথা। ক্ষতিপূরণের বড় একটা অংশ আসবে চার্চ অব ইংল্যান্ডের সদস্যদের কাছ থেকে।
গত বছরই গির্জার ধর্মযাজকদের নেতারা স্বীকার করেন, চার্চ অব ইংল্যান্ড সাউথ সি কোম্পানি নামের এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থানুকূল্য পেয়ে আসছে যারা অষ্টাদশ শতকে ক্রীতদাস বেচাকেনা করতো।
সোমবার চার্চ অব ইংল্যান্ডকে বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ কোটি পাউন্ড যথেষ্ট নয়। স্বাধীন উপদেষ্টামণ্ডলী আরও বলেছে, চার্চ অব ইংল্যান্ডকে তহবিল দশগুণ বাড়াতে হবে।
চার্চ অব ইংল্যান্ডের দাবি, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ কোটি যথেষ্ট। দশগুণ অন্তত বাড়াতে হলে এবং ওভারসাইট গ্রুপের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত এই অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করতে হলে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে চার্চ অব ইংল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে।