কানাডার সরকার বলছে দেশটিতে গত ৩৫ বছরে নিখোঁজ অথবা খুন হওয়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী সংখ্যা যা ধারণা করা হয়েছিল তার থেকেও বেশি।
ধারণা করা হচ্ছে এ সংখ্যা চার হাজার বা তারও বেশী। আগে বলা হয়েছিল বারোশোর মতো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী নিখোঁজ হয়েছেন।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অঙ্গীকার করেছিলেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা হবে এবং তারই অংশ হিসেবে এ তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো।
কানাডার নারী বিষয়ক মন্ত্রী প্যাটি হ্যাজদু মঙ্গলবার বলেছেন, “ন্যাটিভ ওম্যান এসোসিয়েশন অব কানাডা’র করা গবেষণা অনুযায়ী নিখোঁজ বা খুন হওয়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নারীর সংখ্যা চার হাজার বা তারও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে”।
এর আগে ২০১৪ সালে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের প্রকাশ করা তথ্যানুযায়ী, ১৯৮০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নিখোঁজ বা খুন হওয়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীর সংখ্যা ছিল বারোশো জন।
সরকারি তদন্তের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কানাডার তিনজন মন্ত্রী আইনমন্ত্রী জোডি-উইলসন রেবোল্ড, নারী বিষয়ক মন্ত্রী প্যাটি হ্যাজদু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বিষয়ক মন্ত্রী ক্যরোলিন বেনেট -দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রায় দুই হাজার মানুষের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
মন্ত্রীরা বলছেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীরা কেন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন কিভাবে এ থেকে তাদের রক্ষা করা যায় এ বিষয়ে সুপারিশ দেওয়ার জন্যই এমন সার্ভে।
যদিও সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে ধারনা দিতে পারছেননা তবে খুব শিগগির এ বিষয়ে একটা সমাধানে আসা যাবে বলে আশা করছে কানাডা কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি বাংলা