পরিচিতি
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’র ‘সুন্দরী শ্রীভূমি’ সিলেট এর বিয়ানীবাজার উপজেলায় অবস্থিত; শ্রী চৈতন্যের অন্যতম পার্ষদ শ্রীবাস পন্ডিত ও কবি বৃন্দাবন দাশ ঠাকুর’র জন্মস্থান কসবা গ্রামে কবি আবদুল হাসিব’র জন্ম। ঘটি-বাটি ধূলিখেলা ধারাপাত বর্ণমালা, Ñজন্মলগ্ন গৃহ আর তার উঠোনেই জপা হয়েছে। সাত বছর বয়সে মাতৃবিয়োগ ঘঠলে কবি জীবনকে নতুন মাত্রায় চিনতে শুরু করেন। পঞ্চখন্ড হরগোবিন্দ হাই স্কুল থেকে এস,এস,সি পাশ করে বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজেই স্নাতক বাণিজ্য পর্যন্ত লেখাপড়া। তিন বছর সরকারী চাকরী অতঃপর কানাডা প্রবাসী। কবি আবদুল হাসিব প্রধানতঃ কবিতা এবং ছড়া লিখেন। তাঁর আছে তিনটি কবিতাগ্রন্থ ‘অষ্টপ্রহর স্পর্শ চাই’, ‘প্রসূনে প্রনষ্ট’, ও ‘নিষ্ফলা জমির কান্না’। এবং দুটি ছড়ার বই ‘চোখে আসে জল’, ও ‘প্রজাপতির রঙিন পাখা’। আরো আছে দুটি গল্পগ্রন্থ ‘গোধূলির দুটো রঙ’, ও ‘পারুলের প্রথম পরশ’। এমন কি রক্তক্ষয়ী একাত্তরে কৈশোরচোখে দেখা স্মৃতি নিয়ে এই লেখক লিখেছেন প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘বালকের চোখে দেখা একাত্তর’ যার দ্বিতীয় সংস্করণ হলো একুশে গ্রন্থমেলা ২০১১’তে। এপর্যন্ত মোট আটটি গ্রন্থের লেখক তিনি। স্বদেশ বিরহী নিমগ্ন সংসারী কবি ও লেখক আবদুল হাসিব বর্তমানে তাঁর স্ত্রী রুনা বেগম এবং পুত্রত্রয় পল্লব, প্রবাল, ও প্রদীপ নিয়ে কানাডার রাজধানী অটোয়া শহরেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তাঁর লিখা কানাডা ও আমেরিকার প্রায় সকল বাংলা পত্রিকা এবং বাংলা ওয়েভ পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহর থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক সুরমা’ ও ‘সাপ্তাহিক জনমত’ পত্রিকায়ও ছাপা হচ্ছে। তাঁর লেখা ছাপা হচ্ছে, কবির জন্মস্থান বিয়ানীবাজার থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক দিবালোক’ ও ‘সাপ্তাহিক নবদ্বীপ’এ নিয়মিত। এমন কি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক স্বদেশ খবর’, ‘সাপ্তাহিক গোর্কি পত্রিকা’, ও দৈনিক যুগান্তরের পরবাসের পাতায়ও মাঝে মাঝে তাঁর ছাপা হচ্ছে।