ম্লান অরুণালোয় নক্ষত্রের স্বরলিপি
রুপশালি ধানের ঘ্রাণ শুকে কোন ধনেশ পাখি
গড়েছিল আবাস – তার জন্য লিখেছিলে
নক্ষত্রের স্বরলিপি ম্লান অরুণালোয়। আরও
একশ বছর তুমি লিখে যাচ্ছ হেমন্তালয়ে
ঝরা পাতার নিরুপমা চিঠি। লাবণ্যময়ী সন্ধ্যা
দাঁড়ালে উঠনে, মুছে ফেলে রোদ্দুরের লয়
ভেজা মেঘ খুঁজে ন্যায় ধানসিঁড়ির শ্যাওলা শরীর।
ধূসর গোধূলি থেমে গেল। পারাবাত মেঘালয়
ছড়িয়ে দিয়ে গেল স্নাত জ্যোৎস্নার ফুল।
শ্রাবস্তীর মায়া জড়িয়ে নিতেই
অবারিত ঝাউয়ের উদ্যান গাইল
সবুজ বেহালায় গৃহত্যাগীর গান। অদ্ভুত আঁধারে
জমিয়ে অভিমান। নিঃশ্বাসের তরঙ্গে ফেলে গেলে
দিক ভুলো ট্রামের ক্ষুধার্ত কুয়াশা সমাচার।
পরাগ মাখা শাশ্বত বিকেল
…তবু
শীত ঝরা বিকেল গুলো অন্যরকম ছিল, বসন্ত আগমনী ভাব ছিল। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ায়
পলাশ পরাগ – উড়তে উড়তে
রাজপথ পেরিয়ে যেতে চাইলে – এক ঝাঁক শকুন শ্যেন দৃষ্টি ছড়ায়। বাতাসের শরীরে
আটকে যায় তাপের দগ্ধ ছোঁয়া।