জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯২১ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব বলবিজ্ঞান ও তড়িত্ চৌম্বকতত্ত্বকে একীভূতকরণ এবং আপেক্ষিক তত্ত্বের মাধ্যমে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পদার্থবিজ্ঞানীর স্বীকৃতি লাভ করেন তিনি। আইনস্টাইনের পরে অনেকেই পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন পর্দার্থ বিজ্ঞানীকেই আইনস্টাইনের সঙ্গে কেউ তুলনা করার সাহস দেখাননি। তবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পরবর্তী আইনস্টাইনের স্বীকৃতি লাভ করতে যাচ্ছে ২৩ বছরের এক তরুণী! নাম তার সাবরিনা গোনজালেস পাস্তারস্কি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা রুশ বংশোদ্ভূত এই তরুণী ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
মাত্র তিন বছরেই ম্যাসাচুয়েটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি পিএইচডি করছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। হার্ভার্ডে পিএইচডি করার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে তাকে। অর্থাত্ তার লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্টাফ কিংবা অধ্যাপকের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।
মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজেই একটি উড়োজাহাজ বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সাবরিনা। সেই উড়োজাহাজ কোনো ছোট-খাটো কোনো রেপ্লিকা ছিল না। রীতিমতো সত্যিকারের এক উড়োজাহাজ। ১৬ বছর বয়সে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে নিজের তৈরি উড়োজাহাজে করে ঘুরে বেড়ান সাবরিনা। এর দুই বছর পর ১৪ বছর বয়সে এমআইটিতে ভর্তি হন তিনি। মজার বিষয় হলো, সাবরিনার মতো তুখোড় মেধাবীও ছিলেন এমআইটির অপেক্ষমাণ তালিকায়। তবে এমআইটির শিক্ষক অ্যালেন হ্যাগার্টি এবং আর্ল মার্লম্যান সাবরিনার তৈরি বিমানের ভিডিওচিত্র দেখে মত পাল্টান।
সাবরিনা খুবই সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার কোনো একাউন্ট নেই, সিগারেট কিংবা মদ্যপানের অভ্যাসও নেই। পদার্থ বিজ্ঞানের জটিল সব বিষয় নিয়েই বেশ সুন্দর সময় কাটান সাবরিনা। কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি, ব্ল্যাক হোল, স্পেস টাইম এসবই সাবরিনা পাস্তারস্কির গবেষণার বিষয়। আশেপাশে সবাই তাকে নব্য আইনস্টাইন বলতে শুরু করেছে