নিপা আহমেদ: শীতের চাদর সরিয়ে আসছে গরমের দিন। আবহাওয়ার এই পরিবর্তন প্রকৃতির ওপর যেমন বিরূপ প্রভাব ফেলে, তেমনি ত্বক ও চুলেও বাড়তি প্রভাব ফেলে। এই বাড়তি প্রভাব চুলে নানা ধরনের সমস্যা সৃৃৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রয়োজন যথার্থ যত্ন। চুলের কিছু সমস্যার সমাধান ও চুলের যত্নের বিষয়ে জানা থাকা প্রয়োজন।
চুল পড়া : প্রাকৃতিক নিয়মেই প্রতিদিন কিছু চুল পড়ে। তবে চুল পড়ার পরিমাণ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তবে বুঝতে হবে, শরীরের কোথাও কোনো সমস্যা আছে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে প্রচুর পানি, টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। প্রয়োজনে কিছু সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। চুলের গোড়ায় ময়লা জমলে চুল পড়ে। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহে অন্তত দু’বার চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে শ্যাম্পু করার আগের নারকেল তেল হালকা গরম করে ম্যাসাজ করে গরম তোয়ালে দিয়ে মাথা ১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে। এ ছাড়া সপ্তাহে এক দিন কালো কেশুতপাতা ও পেঁয়াজ বেটে মাথায় লাগিয়ে এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
খুশকি : খুশকি হলে ক্যাস্টর অয়েল ও নারকেল তেল একসাথে মিশিয়ে সামান্য গরম করে চুলে ম্যাসাজ করুন। এ ছাড়া আমলা, শিকাকাই, মেথি, রিঠা সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগিয়ে রাখুন। ৩-৪ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।
চুলের আগা ফাটা : চুলের আগা ফাটা রোধ করতে স্টিমিং ভালো কাজ করে। এ ছাড়া হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করলেও আগা ফাটা সমস্যায় ভালো কাজ দেয়। তবে চুলের আগা ফেটে গেলে ফাটা অংশগুলো কেটে ফেলতে হবে। তা না হলে উপকার পাওয়া যাবে না।
শ্যাম্পু : চুল সুন্দর ও ঝলমলে রাখার প্রথম শর্ত হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। তাই চুল নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে। এর জন্য চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু বেছে নিন। হার্বাল শ্যাম্পু বাছাই করার চেষ্টা করুন। ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে রিঠা ভেজানো পানি ব্যবহার করতে পারেন। চুল অপরিচ্ছন্ন মনে হলেই শ্যাম্পু করে নিন।
কন্ডিশনার : শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। প্রাকৃতিক কন্ডিশনার ব্যবহার করা যায়। এ জন্য চায়ের লিকার ঠাণ্ডা করে অথবা এক মগ পানিতে এক টেবিল চামচ ভিনিগার মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।