পেনাল্টিতে তাঁর উদ্দেশে সাজানো গোল ছিনিয়ে নিয়েছিলেন সতীর্থ বার্সা ফরোয়ার্ড। দু’দিনের মধ্যে এ বার তাঁর পাঁচ কোটি ডলারের (প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা) সম্পত্তি ‘ছিনিয়ে’ নিল ব্রাজিলের আদালত।
তিনি— নেইমার ২০১১ থেকে ’১৩ স্যান্টোসে খেলার সময় কর ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে সাও পাওলোর এক আদালত এ দিন মহাতারকা ফুটবলারের ব্যক্তিগত ইয়ট, জেট-এর পাশাপাশি তাঁর আরও নানা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পরোয়ানা জারি করেছে। জেট-টা বছর তেইশের ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডারকিড ইদানীং দেশের হয়ে বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং ম্যাচ খেলতে, ছুটি কাটাতে বা ব্রাজিলে ফিরতে ব্যবহার করতেন। বার্সেলোনা তারকার অন্যান্য যে সব সম্পত্তি আদালত বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে তার মধ্যে তাঁর পরিবারের তিনটে কোম্পানিও আছে।
নেইমার ও তাঁর বাবা নেইমার সিনিয়রকে সপ্তাহ দু’য়েক আগেই মাদ্রিদের আদালতে তিন ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল ২০১৩-এ বার্সেলোনায় সই করার সময় ব্রাজিলীয় তারকার প্রকৃত ট্রান্সফার ফি কত ছিল তা জানতে। ব্রাজিলের ক্লাবে খেলার সময়ের মতোই ইউরোপের ক্লাবে মেসি-ইনিয়েস্তাদের সতীর্থ হওয়া ইস্তক নেইমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর ট্রান্সফার ফি খাতায়-কলমে যা দেখানো হয়েছে, আসলে তার চেয়ে ঢের বেশি। এবং এর পিছনে নাকি নেইমারের বাবা আর প্রাক্তন বার্সা প্রেসিডেন্ট। যার জেরে ওই ক্লাব প্রধান ইস্তফাও দেন কিছু দিন আগে।
স্বভাবতই বার্সার ট্রান্সফার ফি-র মতোই স্যান্টোসে খেলার সময় বিশাল অর্থের কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগও নেইমার অস্বীকার করেছেন। এমনকী সিনিয়র নেইমার বলেছেন, ‘‘আমার ছেলে স্পেনে খেলতে আসার থেকে আয়কর দফতর ওর পিছনে লেগে রয়েছে। আড়াই বছর ধরে দেশে-বিদেশে আমাদের পরিবারকে কর সংক্রান্ত ঝামেলা সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। আমার ছেলেকে কর-ঝামেলায় শেষমেশ বার্সা ছাড়তে হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।’’ ইউরোপিয়ান ফুটবলমহলেও তাই জল্পনা, নেইমারকে ইপিএলে দেখা যেতে পারে। আর সেটা হয়তো ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে!
আনন্দবাজার