প্রচ্ছদ নজরুল ইসলাম বাসনের কলাম বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ ওমেন এন্টারপ্রেনার্সের দিনব্যাপি শীর্ষ সম্মেলন

বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ ওমেন এন্টারপ্রেনার্সের দিনব্যাপি শীর্ষ সম্মেলন

0
নজরুল ইসলাম বাসন: লন্ডনের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ ওমেন এন্টারপ্রেনার্স দিনব্যাপি বিজনেস সামিটে গিয়েছিলাম, বৃটেনের বেশ কিছু স্বনামধন্য মহিলা একটিভিস্ট এই সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন যারা একটি নতুন ধারার সৃষ্ঠি করতে চাচ্ছেন, এদের মধ্যে আছেন মিসেস দিলারা খান, মমতাজ খান, কাউন্সিলর সাবিনা খান, মিস আয়েশা বশর ও আরো অনেকে।
ক্রাউন প্লাজা হোটেলের এই শীর্ষ সম্মেলনে স্টেট মিনিস্টার প্রীতি প্যাটেল, আন ম্যান এমপি, লর্ড কারেন বিলমুরিয়া, বেরনেস উদ্দিন এবং শিক্ষাবিদ ড: নাজিয়া খানম, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত উদ্যেক্তা মিসেস নাসরিন আওয়াল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন, এ ছাড়াও আরো কিছু পেশাজীবী ও নারী উদ্যেক্তাও ব্ক্তব্য রেখেছিলেন।
তারা ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ভোটাভুটির এর বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন, নিজেদের বিষয়ে বলেছেন আমি তাদের বক্তব্যর এসব বিষয়ে আলোকপাত করতে যাচ্ছিনা,আমি এখানে যে বিষয়টি তুলে ধরতে চাই তাহল বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ ওমেন এন্টারপ্রেনার্স এর সাথে যারা জড়িত তাদের মধ্যে অনেকেই ধাপে ধাপে এই পর্যায়ে এসেছেন, আমি অনেককেই চিনি যাদের সাথে স্থানীয় সরকারে একসাথে চাকুরিও করেছি এক সময়, তাই তাদের সক্ষমতা সম্পর্কেও আমার সম্যক ধারনা আছে,এই ধারনার উপর ভিত্তি করে বলতে পারি বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ ওমেন এন্টারপ্রেনার্স এর নেত্রীরা ব্যবসা- বানিজ্যে বৃটেনের বাংলাদেশি মহিলাদের জড়িত করার জন্যে যে উদ্যেগ নিয়েছেন তা সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,সেই লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজও করে চলেছেন।
moএকথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, বৃটেনে বসবাসরত সিলেটী মহিলারা স্বামীদের পাশা-পাশি বিরাট ভুমিকা রেখে চলেছেন। স্বামীদের ব্যবসা -বানিজ্যে তারা সহযোগিতা করে থাকেন, তা ছাড়া সংসার দেখাশোনা করাও বিরাট একটি ব্যাপার। ছেলে মেয়ে মানুষ করার ব্যাপারটিও ধর্তব্যের মধ্যে আসে। কর্মজীবী স্বামীর পাশা-পাশি একজন হাউস ওয়াইফও ফুলটাইমের অধিক কাজ করে থাকেন, যার ফলে স্বামীরা বাইরে কাজ কর্ম করতে পারছেন। আমার মনে হয় বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ ওমেন এন্টারপ্রেনার্স এর উচিৎ হবে বাংলাদেশি মহিলাদের এই অবদানকে স্বীকৃতি দেয়া। নারীদের এই অদৃশ্য অবদানকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। নোবেল বিজয়ী গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড: ইউনুস নারীদের ঋণ দিয়েই তাদের স্বাবলম্বী করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বৃটেনেও ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে তবে বাঙলাদেশি নারীরা এ সম্পর্কে কতটুকু অবগত আছেন এ নিয়ে প্রশ্ন আছে? মহিলারা গ্রুপ করে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন কি না এ নিয়ে বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ ওমেন এন্টারপ্রেনারের ভাবনা চিন্তা করতে পারে এবং মহিলাদের পথ দেখিয়ে দিতে পারে।
বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ ওমেন এন্টারপ্রেনার্সের অন্যতম নেত্রী মিসেস পলি ইসলাম বলেছেন,আমরা অন্তপুরের মহিলাদের বের করে আনতে চাই যারা ঘরে বসে কাজ করেন যেমন সিঙাড়া বানান,আচার বানান,সেলাইর কাজ করেন তাদের কে আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে সহযোগিতা করতে চাই, তারা যাতে বৃহত্তর অংগনে । মিসেস পলি ইসলাম নিজেদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন যা তিনি নিজে এসব গড়েছেনও তাই এখন তিনি তার অভিজ্ঞতাকে সামাজিক ভাবে কাজে লাগাতে চান বলে একটি টেলিভিশনের টকশোতে বলেছেন, তার কথা শোনে মহিলারা অনুপ্রানিত হতে পারেন। মিসেস পলি ইসলাম যাদের সাথে আছেন এর মধ্যে রয়েছেন দিলারা খান, মমতাজ খান, কাউন্সিলর সাবিনা খান এবং ইয়ঙ এন্টারপ্রেনার এর মধ্যে রয়েছেন আয়েশা বশর। বলা যায় এটি একটি সবল টিম। তবে আমার মতে এই সবল টিমকে বিভিন্ন সফল টিমের সাথে পার্টনারশীপের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। আমার মনে হয় একটি কর্মকৌশল নির্ধারন করে বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ ওমেন এন্টারপ্রেনার্স এর কর্মসুচি গ্রহন করতে হবে। সবচাইতে গুরুত্ব দিয়ে বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ ওমেন এন্টারপ্রেনাস কে যে কাজটি করতে হবে তাহল অন্তপুরের মহিলাদের যাদের প্রতিভা রয়েছে তাদেরকে বাইরে বের করতে হবে।
পূর্ববর্তী নিবন্ধদ্বৈত্ব নাগরকিত্ব নিয়ে নতুন আইন আসছে? এক্সপার্টদের এগিয়ে আসার প্রয়োজন
পরবর্তী নিবন্ধচিনামাটির পাহাড়ে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here