প্রতিদিনের মতো আজ সকালটাও
আনমনে কেটে গেল তোমার অপেক্ষায়
ভেতর-বাহিরে একটা ছটফটানি আসে
কেন যে এলে না তুমি?… না -ফেরার চিহেৃ
ধীরে ধীরে জমছে বিষাদের কফিন…
ফেরা
কোন আহবানে ঘরে ফেরার কথা বলছো অরণ্য
তার’চে চলো প্রচ্ছন্ন ছায়া ভরে একটানা হাঁটি
হাঁটতে হাঁটতে পাঠ করি আমাদের গল্পও প্রকৃতি
কোন আহবানে ঘরে ফেরার কথা বলছো দিগন্ত
তার’চে ভাল শরীর জুড়ে মিশে যাক হাওয়া
সময়ের গন্তব্য টেনে হাসুক বে- ভোলাস্মৃতি?
কোন আহবানে ঘরে ফেরার কথা বলছো তুমি?
যে ঘরে মিছে আরাধনা, অলিক মায়া, কাঁটাগ্রস্থ
হৃদয়, নিজের ভেতর খরতর নদী ও বোবামূর্তি
এড়ানো যায় না
অন্ধকার কিংবা ঘুমের ভেতর
নীল আকাশ ও বেদনার ব্যবধান
আমি নিঃশব্দে এড়িয়ে চলি, আর
অপেক্ষা করি একটি সুন্দর সকালের
যেখানে স্মৃতি-বিস্মৃতি হানা দেবে না
গরম কফির আমেজে বিষাদ জমবে না
নীল আকাশ ও নীল ব্যবধান এড়িয়ে
চলি, কিন্তু নীল শাড়ি, চুড়ি গহনা
এড়াতে পারি না…
এড়াতে পারি না আনমনে গান গাওয়া
মন তো পাথর নয়
যা বুঝিনি কোনদিন, সে স্মৃতি কেন
হাৎড়ে চলি প্রতিনিয়ত নিজের ভেতর
ছদ্মবেশী এক অস্থিত্বের আনাগোনা
আনমনে ডাকে!… আমি সে অস্থিত্বে
পৌঁছাতে মরা জলে কাটছি সাঁতার
যা বুঝিনি কোনোদিন, সেও আজ ছন্দময়
যেন দূর থেকে আমাকে দেখছে অপলকে
এ- মন একবারই ছুঁয়ে যেতে পারে কেউ…
এ- মন একবারই লুকায় অন্য কোন খাঁচায়
মনের কী দোষ বলো বন্দি মন তো পাথর নয়…
সময়
কোথায় যেন হারাচ্ছে মৌন সময়
কি করবো আমি, কবিতা লিখব?…
বিগত সময়, তোমাকে ভাবতে ইচ্ছে
করছে, আগামীর হাসি তোমার দিকে
যেতে- যেতে মনানুভবের স্মৃতিঘাতে
আশাগুলো শূন্য হয়ে গেলে!
জানি ছায়ায় বাঁধা যায় না ঘর, ছায়ার
ভেতরও বন্দি হয় পোষামনপাখি ,তাই…
নীরবে ’আশা’ শব্দটাকে তুলে রাখব দেয়ালে