অনলাইন ডেস্ক: রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতি চুক্তির ওপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে শনিবার ভোটাভুটি হচ্ছে।
চুক্তির খসড়ায় সিরিয়ায় ব্যাপক মানবিক সহায়তার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে দেশটিতে সংঘাত বন্ধে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সিরীয় সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে আলোচনার পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থনের কথাও ব্যক্ত করা হয়েছে। সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে আলোচনা আগামী সপ্তাহে কাজাখস্তানে শুরু হবে।
সিরিয়ার বেশিরভাগ এলাকায় এক দিন আগে অস্ত্রবিরতি শুরু হয়েছে। তবে কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষ ও বিমান হামলা হয়েছে। এছাড়া জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস), জাবাত ফাতেহ আল-শাম ও কুর্দি ওয়াইপিজে মিলিশিয়ারা অস্ত্রবিরতির আওতায় পড়বে না।
রাশিয়া ও তুরস্ক অস্ত্রবিরতিতে মধ্যস্থতা করে। সিরীয় যুদ্ধে দেশ দুটি বিরোধী পক্ষগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে। তবে অস্ত্রবিরতির মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটন ছিল না।
শুক্রবার দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, উত্তরাঞ্চলের হামা প্রদেশে সংঘর্ষ ও বিমান হামলা হয়েছে।
সংস্থাটি আরো জানায়, বিদ্রোহী জোট জাবাত ফাতেহ আল শামসহ বিরোধী বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত দামেস্কের নিবকটবর্তী ওয়াদি বারাদায়ও বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। জাবাত ফাতেহ আল শাম গত জুলাই মাসে আল কায়েদার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করার আগ পর্যন্ত আল নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল। তবে সিরীয় সামরিক বাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি মেনে না চলার অভিযোগ করেছে।