প্রচ্ছদ বাংলাদেশ আপন জুয়েলার্সের সাড়ে ১৩ মণ সোনা জব্দ

আপন জুয়েলার্সের সাড়ে ১৩ মণ সোনা জব্দ

0
আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুম থেকে জব্দ করা সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করেছেশুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। রোববার এসব সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার রাতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মইনুল খান যুগান্তরকে এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। তাদের তিন বার তলব করা হয়েছিল, দু’বার এসেছিলেন তারা। কিন্তু যেসব কাগজ-পত্র চাওয়া হয়েছিল সেসব দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। এ কারনে স্বর্ণগুলো অবৈধ বলে ধারনা করছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের ডিজি জানান, আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে যেসব কাগজ-পত্র দাখিল করা হয়েছে সেসব যাচাই করে দেখা গেছে সবই ভুয়া।  আয়কর এবং ভ্যাট স্টেটমেন্ট অনুযায়ী তাদের মজুদকৃত সোনার পরিমাণ একেবারে কম। আপন জুয়েলার্সে যে পরিমাণ সোনা পাওয়া গেছে তার মাত্র দুই ভাগ আয়কর নথি এবং ভ্যাট স্টেটমেন্টে উল্লেখ করা আছে।

তিনি জানান, প্রথমদিন দিলদার যেসব তথ্য দিয়েছেন সেসব তথ্যের সঙ্গে পরের তথ্যের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। একটি ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে দিলদার ও তার সহযোগীরা যে ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন তাতে তাদের কুৎসিৎ চেহারা ফুটে উঠছে। আরও অনেক অসততার চিত্র ধরা পড়ছে। একটি মিথ্যাকে ঢাকতে তিনি আরও অনেক মিথ্যা ও অস্বচ্ছতার জালে জড়িয়ে যাচ্ছেন।

দিলদার আহমেদ ও তার ব্যবসায়িক অংশীদারদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা হতে পারে বলেও জানান মইনুল খান।

২৮ মার্চ রাতে রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে রাতভর ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী।

ধর্ষণের ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন। আরেক ধর্ষক হিসেবে নাঈম আশরাফের নাম প্রকাশিত হয়। দুই ধর্ষকের সহযোগী সাদমান সাকিফ ‘র্যাগনাম গ্র“পের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অপর সহযোগী আবুল কালাম আজাদ হলো সাফাতের দেহরক্ষী।

ধর্ষণের ঘটনায় ৬ মে দুই ছাত্রী পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।

পরে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অভিযান চালায় আপন জুয়েলার্সের শো’রুমে। অবৈধ উল্লেখ করে আটক করা হয় প্রায় সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা।

পরে গ্রাহকরা কাগজ-পত্র দেখিয়ে দুই কেজি ৩৩০ গ্রাম সোনা অধিদফতর থেকে নিয়ে যায়। বাকি সোনার কোনো কাগজ-পত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here