অনলাইন ডেস্ক:ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে নারীদের যোগদানের হার বেড়ে গেছে। নারীরা স্বেচ্ছায় দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দিচ্ছে। ১৮ বছর বয়সী স্মাদার তার স্বয়ংক্রিয় রাইফেলটি কাঁধে ঝুলিয়ে রেখেছে। তার সারা মুখ ধূলাবালি মাখা। কঠোর প্রশিক্ষণ সত্ত্বেও তার মুখের হাসিটি অমলিন।
তার নারী প্রশিক্ষক চিৎকার করে এই কঠোর অনুশীলনে উৎরে যেতে তাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। স্মাদার বলেন, ‘এই ইউনিটকে বেছে নেয়ার জন্য আমার কোন আফসোস নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি সম্ভাব্য সবচেয়ে বেশি যুদ্ধবাজ ইউনিটে যোগ দিতে চাই।’ স্মাদার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মধ্যে যে কৌশলপূর্ণ ও ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে তার অংশ। বিপুল সংখ্যক নারী এই কমবেট (যুদ্ধবাজ) ইউনিটটিতে যোগ দিচ্ছেন।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মাত্র চার বছর আগে এই কমবেট ইউনিটটিতে প্রায় তিন শতাংশ নারী ছিল। বর্তমানে ইউনিটটিতে নারীর সংখ্যা বেড়ে সাত শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে ৯.৫ এ পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সমাজের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক সৈন্যের অভাব এই দুই কারণেই কমবেট ইউনিটটিতে নারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে সমাজের প্রাণকেন্দ্রে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর অবস্থান। এখানে প্রায় সব ইহুদী নাগরিককেই কাজ করতে হয়। এমনকি ১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে থেকেই হাগানায় নারীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে এটি খুবই শক্তিশালী অঞ্চল।
বর্তমানে ছেলেদের বয়স ১৮ বছর হলেই ২ বছর ৮ মাসের জন্য তারা সেনাবাহিনীতে চাকরী করে। অন্যদিকে মেয়েরা ২ বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে চাকরী করে। অতীতে যুদ্ধক্ষেত্রে নারীরা রেডিও অপারেটর অথবা সেবিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। বর্তমানে পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে।
ইসরাইলে ২০০০ সালে নারী ও পুরুষের অংশ গ্রহণে কারাকাল ব্যাটালিয়ন নামে প্রথম যৌথ ইউনিট গড়ে তোলা হয়। ওই বছর ইসরাইলে একটি সংশোধিত আইনে বলা হয়, ‘পুরুষদের মতো যে কোন স্থানে যে কোন ধরনের কাজ করার সমান অধিকার নারীদের রয়েছে।’ ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে যে তিনটি যৌথ ইউনিট রয়েছে বারদেলাস তার অন্যতম। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে আরো একটি যৌথ ব্যাটালিয়ান করার পরিকল্পনা রয়েছে।