ঈদের আগে চেহারা, সাজপোশাকে ভিন্নতা আনতে চান অনেকেই। চুল কাটা ও রং করা এ ক্ষেত্রে বেশ ভালো ভূমিকা রাখে। তবে হালফ্যাশনে নিজেকে সাজানোর আগে খোঁজখবর নেওয়া উচিত। সৌন্দর্যসেবা কেন্দ্রে গিয়ে সব খোঁজখবর নিতে হবে, এমনটা নয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ঢুঁ মারলেই বুঝে যাবেন—ফ্যাশনে কী চলছে। চুলে রং করার চলতি ধারাগুলোও বুঝতে পারবেন এর মধ্যেই। সেখানে থেকে বেছে নিতে পারবেন ইচ্ছেমতো। তবে সবার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি।
১. চলতি গতানুগতিক ধারার বাইরে কিছু করাতে চাইলে অনেক সময় সৌন্দর্যসেবা কেন্দ্রগুলো বুঝতে পারে না। সে ক্ষেত্রে ছবি নিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
২. রং করানোর আগে-পরে চুলে শ্যাম্পু না করাই ভালো। এতে করে চুলের প্রাকৃতিক তেল চলে যায়। এই তেল আবার রং করানোর সময় মাথার ত্বককে সুরক্ষা দেয়।
৩. ২৪ ঘণ্টা আগে চুলে মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন, চুলে প্রয়োজনীয় ময়েশ্চারাইজার পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
৪. চুলে কোন রং করাবেন, সেটা বুঝতে না পারলে গাঢ় রং করে ফেলুন। হালকা রং অনেক সময়ই হিতে বিপরীত ফলাফল নিয়ে আসে। হালকা রং আনার জন্য অনেক সময়ই ব্লিচ ব্যবহার করা হয়। শুষ্ক চুলের অধিকারীদের চুল আরও শুষ্ক হয়ে যায়।
৫. চুলে রং করানোর সময় বিভিন্ন রকম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। রং করা চুলের যত্ন নিতে হয় বেশ যত্ন করেই। না হলে চুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা শতভাগ।
৬. দৈনন্দিন জীবনে এই দেখভাল ঠিকমতো করতে পারবেন কি না, সেটা বুঝে নিন। রূপবিশেষজ্ঞকে আগেভাগেই জানিয়ে দিন আপনার পেশা, দৈনন্দিন রুটিন।
৭. গ্লোবাল হেয়ার কালার করালে নিয়মিত চুলের গোড়ায় টাচআপ করাতে হবে। অন্যদিকে, ওমব্রে স্টাইলে করা চুলে একটু কম দেখভালও খুব একটা অসুবিধা হবে না।
৮. রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, ‘চুলে এখন উজ্জ্বল রং করাচ্ছেন অনেকেই। অনেকে চার-পাঁচটা রং বেছে নিচ্ছেন, অনেকে আবার তিনটি রং। বাদামি, মেহগনি, ব্লন্ড রংগুলো বেশি দিন টেকে। বাকি রংগুলো ১৫ থেকে ২০ ধোয়ার পর ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যায়।’
৯. চুল রং করানোর ৪৮ ঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করুন। এতে রংটা চুলে কিছুটা স্থায়ী হওয়ার সময়ও পায়। অবশ্য এই তথ্যটা নিয়ে বিতর্কও আছে। কারণ, অনেকে মনে করেন, চুলে রং করানোর কয়েক সপ্তাহ পর এমনিতেই তা হালকা হয়ে যেতে থাকে, পানির মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদানের কারণে।
১০. সপ্তাহে এক দিন চুলের পরিচর্যা করুন ভালোভাবে। বাড়িতে বা সৌন্দর্যসেবা কেন্দ্রে গিয়ে ডিপ কন্ডিশনিং করুন, প্যাক লাগান ইত্যাদি। এতে করে চুলের রঙের সুরক্ষার পাশাপাশি চুলের ময়েশ্চারাইজারও ঠিকঠাক থাকবে।