সিঁড়ি
সিঁড়িগুলি ক্রমাগত অদৃশ্য হয় নতুবা আটকে থাকে কালের কংকালে!
পায়ের নিচে চুপিসারে লুট হয় নির্ভরতার পাটাতন!
তারপরও অবচেতন মনে আবর্তিত হই একই বিন্দুতে!
সময়ের দেয়ালে শূণ্যে ভেসে থাকি
নিয়তির কাঁটাতারে ঝুলে বিলাসীস্বপ্ন
বাতাসে ছেড়ে দেই শরীরের সবটুকু ভার
দেশান্তরি পেঙ্গুইনের মত নিজকে দেখি বরফের চাঁই বুকে ধারণকরা বৈসাদৃশ্য নদী তীরে!
সিঁড়ি বেয়ে শুধু উপরে-ই নয়, পা ফসকালে সিঁড়ি-ই আবার শূন্যেতে দাঁড় করায়!
কেন বেমালুম ভুলে যাই সে কথা?
বোধে আসলেই স্পষ্ট কানে ধরা দেয় বাতাসের কাল ভৈরবী সিম্ফনি!
ছুঁয়ে দিলেই
ছুঁয়ে দিলেই প্রান্তরে তোমার অজস্র গোলাপ ফোটে
ছুঁয়ে দিলেই জাফরানি মৌচাক ঝুলে কামুকী ঠোঁটে,
ছুঁয়ে দিলেই তুমি স্বচ্ছসরোবর,
ছুঁয়ে দিলেই দক্ষিণা সুবাতাস
ছুঁয়ে দিলেই চিত্তে শিরহণ
ছুঁয়ে দিলেই ভালোবাসায় প্রণয়ী আলোড়ন।
বুভুক্ষু অপেক্ষা
ভোরের চৌকাঠ বেয়ে নামছে ঝলমলে রোধের ছটা,
আলোর ভাঁজে চাতুর্যে নিজকে আড়াল করে তোমার দুরন্ত বেপরোয়া ছায়া,
আলোয় দ্রবীভুত অন্তদর্হনের কিছুটা দূর্বিষহ জ্বালা,
রাতের আঁধারে ছায়াগুলি ক্রমে জীবন্ত এবং নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠে,
টুঁটি চেপে নিংড়ে শুষে নেয় স্বস্তির সবটুকু কণা সবটুকু ঘুম।
তখন কখনও শয্যা পাতি নেশার বোতলে!
বুভুক্ষুর মতো অপেক্ষা থাকি দিনের আলো
কখন অতিক্রম করবে ভোরের উলঙ্গ চৌকাঠ !
ফ্রেম বন্দি হাসির ঝিলিক
ছুটির ভোর,
কফির কাপে আয়েশী চুমুক দিতে যখনই ঠোঁট পৌঁছায় কাপের সীমান্তে,
কেউ একজন যেন বলে উঠলো I HATE YOU!
যে বলেছে সে বারংবারই বলে।
অথচ জানে,
খুব ভালই জানে,
কতটুকু ভালোবাসি তাঁকে!
তারপরও যখন বলে!
পৃথিবীর শরীর অতিক্রম করে ভালোবাসা,
ছুটে গিয়ে ছুঁয়ে দেয় তাঁর অভিমানে ফুলে থাকা লাল টুকটুকে ঠোঁট!
তারপরও সে বলে I HATE YOU!
যদিও তখন সময়ের ফ্রেমে চিরবন্দি হয় তাঁর মুচকি হাসির ঝিলিক!