হিন্দি বলয়ে অনেকেই প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত শুধু নিরামিষ খান। আর আমাদের বাংলায় দেবীর আরাধনার সঙ্গে থাকে এলাহী খাওয়াদাওয়া।
পটল খেয়ে খেয়ে বোর হয়ে গেছেন? চিংড়ি আর কিমার যুগলবন্দিতে এই পটলের স্বাদ অভিনব, না খেলে পস্তাতে হবে।
পটল কিমা চিংড়ির দোলমা
উপকরণ: পটল: ১ কেজি, চিকেন কিমা: ১৫০ গ্রাম, চিংড়ি:(খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করা): ২০০ গ্রাম, চন্দ্রমুখি আলু: ১ টা(সেদ্ধ করে চটকে রাখা), পিঁয়াজ বাটা: ৩ বড় চামচ, রসুন বাটা: ২ চামচ, আদা বাটা: ৩ চামচ, নারকেল কোরা: ২ চামচ, কাঁচা লঙ্কা ও ক্যাপসিকাম কুঁচি: ২ চামচ করে, পিঁয়াজ কুঁচি: ৪ চামচ, জিরে গুঁড়ো:১ চামচ, গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চামচ, সাদা তেল: চার চামচ, নুন , চিনি: স্বাদ অনুযায়ী, ঘি: ১ চামচ,গোটা গরম মশলা: অল্প, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো – ১ চামচ, হলুদ গুঁড়ো – ১ চামচ,ফেটানো দই- ২ চামচ, ধনে পাতা
প্রণালী: বড় ও টাটকা পটলের গা চেঁচে নিয়ে ভিতর থেকে দানা বার করে সামান্য তেলে অল্প করে ভেজে রাখুন, যাতে সবুজ রং নষ্ট না হয়। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে চিকেন কিমা, আলু দিয়ে নেড়েচেড়ে রসুন ও আদা বাটা দিয়ে কষে নিন। এবার লঙ্কাগুড়ো, কাঁচা লঙ্কা কুঁচি ও জিরেগুঁড়ো দিন। এরপর এর মধ্যে চিংড়ি ও ক্যাপসিকাম কুঁচি দিয়ে নেড়েচেড়ে নুন-মিষ্টি দিন। এর মধ্যে নারকেল কোরা, ঘি ও গরম মশলা দিয়ে পুর রেডি করে নিন।
এবার পটলের মধ্যে পুর ভরে রাখুন। প্যানে তেল দিয়ে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে পিঁয়াজ কুঁচি হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়ে বাকি আদা ও রসুন বাটা এবং লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষুন। নুন চিনি দিয়ে তেল ছাড়া পর্যন্ত কষে নিয়ে এক কাপ গরম জল ঢেলে দিন। ফুটে উঠলে পটল গুলো ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন। এপিঠ ও পিঠ করে সেদ্ধ হয়ে এলে ঘি ও গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে নিন। ফেটানো দই ছড়িয়েও পরিবেশন করতে পারেন। তা না দিলেও অসুবিধা নেই।