প্রচ্ছদ তথ্য-প্রযুক্তি প্রযুক্তি খাতে নারীর উপস্থিতি খুবই কম!

প্রযুক্তি খাতে নারীর উপস্থিতি খুবই কম!

0
আহমেদ ইফতেখার: বিভিন্ন শিল্পের তুলনায় প্রযুক্তি খাতে নারীর উপস্থিতি খুবই কম। সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো স্টার্টআপ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহী পর্যায়ে নারী কর্মীই নেই। অর্থাৎ নারীদের এ ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাতে নারী নেতৃত্বের বিষয়টি কয়েক বছর ধরেই ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। প্রযুক্তি খাতে নারী উপস্থিতি বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করলেও চলতি বছর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিতে কিভাবে নারী উপস্থিতি বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কাজ চলছে। বিশেষ করে খাতসংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ও নেতৃত্ব পর্যায়ে নারী নির্বাহীর সংখ্যা বাড়ানোই এসব উদ্যোগের লক্ষ্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও চলতি বছর প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোয় নারী নির্বাহীর সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে। সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক প্রকাশিত ২০১৭ ‘স্টার্টআপ আউটলুক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের জন্য বিভিন্ন দেশের স্টার্টআপের ওপর জরিপটি পরিচালনা করেছে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৬২ শতাংশ স্টার্টআপ যুক্তরাষ্ট্রের।
বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার প্রোগ্রামিং দুনিয়ায় একসময় একক আধিপত্য বিরাজ করেছিল পুরুষেরা। পরিস্থিতি কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। প্রোগ্রামিংয়ে এখন নারীর উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। তথ্যপ্রযুক্তিতে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু স্টার্টআপগুলোয় নির্বাহী পর্যায়ে নারীর উপস্থিতির ঘাটতি উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন প্রযুক্তি স্টার্টআপে নারীদের এড়িয়ে চলার প্রবণতাকে ভীতিকর বলে মনে করা হচ্ছে।
সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জরিপে অংশ নেয়া ৯৪১টি স্টার্টআপ কোম্পানির ৭০ শতাংশের পরিচালনা পর্ষদে কোনো নারী সদস্য নেই। গত বছর ৬৬ শতাংশ স্টার্টআপ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে কোনো নারী সদস্য ছিল না। শুধু পরিচালনা পর্ষদ সদস্য পদেই নয়; চলতি বছর নির্বাহী পর্যায়ে নারী কর্মী নেই, এমন কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে। জরিপে অংশ নেয়া অন্তত এক-চতুর্থাংশ স্টার্টআপ কোম্পানির কর্মী বৈচিত্র্য রক্ষার্থে কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। তবে হাতেগোনা কিছু স্টার্টআপের চেষ্টায় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে না। বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো নারী ও পুরুষ কর্মীর বৈচিত্র্য রক্ষার্থে কাজ করছে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, প্রযুক্তি কোম্পানি গুগল, মাইক্রোসফট ও আইবিএমের মতো শীর্ষস্থানীয় কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মী বৈচিত্র্য রক্ষায় ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফেসবুকে গত এক বছরে নারী কর্মীর সংখ্যা ১৫ থেকে বেড়ে ১৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মীর সংখ্যাও বেড়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্বস্থানীয় বা নির্বাহী পর্যায়ে নারীর সংখ্যা বাড়েনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here