আহমদ ময়েজ: প্রতি বছরের মতো এবারও ‘এ সিজন অব বাংলা ড্রামা’ মাসব্যাপি উৎসব ভাব নিয়ে শুরু হয়েছে। এ বছর ১৫ বছরে পা রাখলো ‘এ সিজন অব বাংলা ড্রামা’। গত ৩ নভেম্বর, শুক্রবার ‘দ্যা কাফে’ দিয়ে উদ্বোধন করা হলেও পরের দিন ৪ নভেম্বর নাটকটি আবারও মঞ্চস্থ হয় ব্রাডি আর্ট সেন্টারে।
দ্বিতীয় দিন ৫ নভেম্বর একই মঞ্চে মঞ্চস্থ হয় জাহাজি। বিষয়ের দিক থেকে দুটো নাটকই বিলেতের অভিবাসী বাঙালিদের জীবনচরিত নিয়ে রচিত। ‘দ্যা ক্যাফে’ ছিল সমকালের বিভিন্ন দিক নিয়ে রচিত যার মাধ্যমে মানুষের সাংস্কৃতিকমান অনেক হাস্যকৌতুকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। বিলেতে বাংলা নাটকের সময়কাল বেশ দীর্ঘ। ৪০ দশক থেকে শুরু হওয়া বাংলা মঞ্চনাটক সময়ের দিক থেকে বেশ পুরানো। ৯০ দশক থেকে আমরা যে পরিমাণ মঞ্চনাটক দেখেছি তা কোনো বিচারেই খুব একটা উন্নত বলা যাবে না। গত দেড় দশক থেকে ‘এ সিজন অব বাংলা ড্রামা’র বদৌলতে একটা প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে। এতে প্রচুর উপকারও হয়েছে। সবাই চেষ্টা করেছেন নিজেদের সাধ্যানুযায়ী ভালো কিছু করে দেখানোর। কিন্তু এই চর্চার ভেতর কোন মানদণ্ড কাজ করছে? হ্যাঁ, মানদণ্ড তো একটা আছে। ঢাকার বেইলি রোডের মানদণ্ড মাথায় রেখে অনেকে বিলেতের নাট্যচর্চা করছেন। সেটাকে কোনোভাবেই ছোট করে দেখার জো নেই। কিন্তু বেইলি রোড যে-মানদণ্ড থেকে তৈরি হয়েছে, আমরা কেন সরাসরি সেখানে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে পারছি না? দু-হাজার সাল থেকে যে-চর্চাটা হচ্ছে সেখানেও সেই বেইলি রোডই উঠে আসছে বার বার। ঢাকার নাট্যকর্মীরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের নাট্যকর্ম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিশ্বমানের নাটক উপস্থাপনের স্পর্ধা রাখেন বলেই তারা সেটা করেন। ‘এ সিজন অব বাংলা ড্রামা’ থেকে যে সব নাটক মঞ্চস্থ?হচ্ছে সেসব কি বিশ্ব মানের? কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো আমরা বিশ্বমানের সিম্বলিক উপস্থাপনা দেখতে পাই। কিন্তু চর্চার ক্ষেত্রে যে অনুশীলন দরকার সে অভাবটাও বাংলা নাটকের পর্বে পর্বে গেঁথে আছে। এসব দূর করার জন্য ওয়ার্কশপের অভাব বুঝা যায়।
যে কোনো নাটকের কাহিনী বা গল্প যতো ভালো হোক, নাট্যরূপ তৈরি করা এবং সে অনুযায়ী একে উপস্থাপন করা মূল বিষয়। একটি ভালো গল্পও সঠিক নাট্যরূপ ও উপস্থাপনার অভাবে অনেক স্থুল হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ‘জলবেশ্যা’ গল্পের অবলম্বনে কোলকাতাকেন্দ্রীক যে চিত্রনাট্য তৈরী হয়েছে যারা এ গল্প পড়েছেন তারা তা দেখলে হতাশই হবেন। ‘জলবেশ্যা’ বাংলা সাহিত্যের ধ্রুপধী ধারার গল্পের অন্যতম একটি গল্প। গল্পের কাঠামোকে একজন স্ক্রিপট রাইটার অন্য এক কাঠামোতে বিনির্মাণ করতে গিয়ে সর্বনাশ করে ফেলতে পারেন। এ বিষয়গুলো একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রী যদি মনে করেন- এটা আমার কোনো বিষয় নয়, এটা কেবল যিনি চিত্রনাট্য তৈরি করেন বা যিনি দিকনির্দেশনা করেন তার ব্যাপার, তাহলে কিন্তু হবে না। অভিনয় জগতের একজন অভিনয়শিল্পীকে এসব বিষয় জেনে নিজেকে ঋদ্ধ করতে হয়। এবার আলোকপাত করবো মঞ্চস্থ হয়ে যাওয়া দুটি নাটক প্রসঙ্গে।
দ্যা কাফে: শুরুতে বলা যেতে পারে ‘দ্যা কাফে’র ভেতর কোনো গল্প নেই – বরং বলা যায় সমাজ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একপক্ষীয় কিছু ঘটনার ক্রিটিসাইজ। লেখকের এমনতরো একরৈখিক মনোভাব নিয়ে অনেকের দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু নাটক তো কেবল বিনোদন নয়, দায়বোধ এর প্রধান বিষয়। না, কোনো চাপ ছিল না এ নাটকটি দেখার ক্ষেত্রে। উপস্থাপনা ভারবাহী ছিল না। তবে তা একটি ভালো গল্প হয়ে উঠতে পারতো যা পরবর্তী কোনো এক সময়ে সমাজের প্রকৃত চিত্র সম্বন্ধে মানুষ ধারণা পেতো। হ্যাঁ, কৌতুক-প্রবণতার ভেতর দিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে নাটকটি। স্থূল সিনেমার বিষয়কে উদাহরণ হিসেবে অত্যাধিক ব্যবহার করতে গিয়ে ‘দ্যা কাফে’ নিজেই সিনেমাটিক হয়ে উঠেছে।
বিলেতের বাংলা মিডিয়া, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট, বিলেতে বসে বাংলাদেশের রাজনীতি চর্চা, সামাজিক জীবনে মানুষের সাংস্কৃতিক মান ও অভিবাসী বাঙালির জীবনের বিভিন্ন দিক নাট্যরূপে প্রকাশ করেছেন লেখক। বুলবুল হাসান নিজেও এই বিলেতের সংবাদমাধ্যমের সাথে সম্পৃক্ত একজন ব্যক্তি। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকেই হয়তো তিনি এসব উপস্থাপন করতে পেরেছেন। কিন্তু সমাজের যে কোনো বিষয়ের একটি দিকই থাকে না। নাটকে এর বিপরীত দিক উন্মোচিত হলে অনেক বিশ্বস্ততাও তৈরী হতো। আগামী ২০ বছর পর অন্য কেউ এই নাটক থেকে প্রকৃত বার্তাটি নিতে পারবে না। কারণ, এটি একটি আংশিক বা খণ্ডিতচিত্র। বলতে পারেন সব দিক নিয়ে কাজ করার দায়িত্ব একজন লেখক, নাট্যকার বা সাংবাদিকের একার নয়। সৃষ্টিশীল কাজের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে ভিন্ন মতও রয়েছে। শিল্পের দায়বোধ থেকে দেখলেও মনে হবে বিষয়টি যৌক্তিক। এ কারণে যে, সমাজের দুটো দিক নিয়ে আসাই যুক্তিসঙ্গত। আবার যা কিছু আলোকিত তা মানুষের চোখে পড়বেই। যা আড়ালে থেকে গেছে তা তুলে ধরাই একজন শিল্পীর কাজ। অপরদিক থেকেও মোটামুটি একটা যুক্তি রয়েছে, তাহলো বড় দাগে প্রত্যেক বিষয়কে প্রত্যেকে নিজের মতো করেই দেখবেন।
বিলেতে বাংলাদেশী রাজনীতির প্রচুর সমালোচনা বাংলা মিডিয়ায় হরহামেশা হচ্ছে। এটা নতুন কিছু নয়। আবার দেশীয় রাজনীতিকে একেবারে অবজ্ঞা করাও যায় না। কারণ, বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে প্রবাসীদের শ্রম ও ঘাম জড়িত। তাছাড়া মানুষ কোনোভাবেই জন্মের দায় ভুলতে পারে না। সেটা মান্য করেই সামাজিকভাবে এই রাজনীতি জিইয়ে থাকা পর্যন্ত আমরা স্বাভাবিক ধরে নেই। কিন্তু একেবারে পার্টিজান হয়ে বাংলাদেশের অসুস্থ রাজনীতির চর্চাকে আমরা সমর্থন করতে পারি না।
বাংলা সংবাদপত্রের একশ বছরের মাথায় এসে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রসার ঘটে। এ ক্ষেত্রে বাংলা সংবাদপত্র বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মধ্যে সেভাবে পেশাদারিত্ব গড়ে উঠেনি যেমন ঠিক, আবার এটাও বুঝতে হবে কমিউনিটি নির্ভর সংবাদ-মাধ্যম আর জাতীয়ভাবে সংবাদ-মাধ্যমকে একই দৃষ্টিভঙিতে দেখলে চলবে না। কারণ, কমিউনিটি বললে বিষয়টি আপনা থেকে একটা সীমাবদ্ধতা তৈরি করে। পৃথিবীতে অভিবাসী কেবল বাঙালিই নয়, পৃথিবীর বহু জাতিগোষ্ঠী অবস্থার ফেরে অভিবাসী হয়েছেন। গড়পরতায় মধ্য বয়স বা একটু তরুণ বয়স থেকে মানুষ অভিবাসী হন। একজন মানুষ ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সময় বা এর পরপরই সে তার মূল আবাস ছেড়ে যখন অন্যত্র পাড়ি জমান, তখন মানুষের এক জীবন চলে যায় কেবল স্থিতিশীল হতে হতে। সাধারণভাবে সবাই এই সময়ের মাপজোকের শিকারে পরিণত হন। এতো সব টানাপোড়েনের মধ্যদিয়েও মানুষ নিজের আত“পরিচয় নিয়ে সংগ্রাম করে। এমতাবস্থায় প্রবসীদের জীবনাচার নিয়ে কোনো স্ক্রিপট বা গল্প লিখলে সে বিষয় যদি একজন লেখককে স্পর্শ না করে – তাহলে সেটা হবে অনভিপ্রেত। বুলবুল হাসানের ‘দ্যা কাফে’তে এসবের উপলব্ধির অভাব প্রচুর রয়েছে। হ্যাঁ, মানছি বাঙালি কমিউনিটির সাংস্কৃতিক মান ওয়াসিম-রোজিনা পর্যায়ে রয়ে গেছে। কিন্তু স্বদেশে ১৬ কোটি বাঙালির সাংস্কৃতিক মান কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটা আমলে নিলে কমিউনিটি কেন্দ্রীক বাঙালিকে বিচার করা সহজ হতো।
‘দ্যা কাফে’র প্রত্যেকটি চরিত্র নিজেদের ভালোভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের অভিনয়ে তেমন কোনো ত্রুটি ছিল না। কবি শামীম আজাদকে দর্শক অন্য প্রেক্ষাপটে মঞ্চে দেখে অভ্যস্থ। ফলে তার উপস্থিতি অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে একটি চরিত্র, সেটি বুঝা যায়নি। বরং আমরা শামীম আজাদের অন্যান্য অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি সহজভাবে প্রবেশ করার মতোই দেখছিলাম।
বিশ্বসাহিত্যের ব্যানারে ‘দ্যা কাফে’র পরিচালনায় ছিলেন সৈয়দা সাইমা আহমেদ। অভিনয়ে ছিলেন অনিন্দিতা তাহসিন, আরফুমান চৌধুরী, হিমু এম হোসাইন, সাদেক আহমদ চৌধুরী, শাহ ওয়াদুজ্জামান, শান্তা চৌধুরী, শারমীন জান্নাত ভূট্টু, শুয়েব চমক, জহিরুল ইসলাম রাসেল ও শামীম আজাদ।
জাহাজি: নামকরণেই বুঝা যায় মুরাদ খান এবার কী নিয়ে এসেছেন। বাঙালির প্রবাসী হয়ে ওঠার পেছনের কাহিনী থেকে এই গল্পের শুরু। এ গল্পের মর্মে মর্মে রয়েছে শ্রম, কষ্টের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন। তখন ব্রিটিশ ভারতের যুগ। ব্রিটিশদের বিশাল সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ভারতবর্ষের মানুষদের কালাপানি পাড়ি দেবার কাহিনী নিয়ে জাহাজি নাটকের মূল কেন্দ্র। মুরাদ খানের গেলো বছরের নাটকের সঙ্গে তুলনা করলে এ নাটকের কাহিনী নয়, উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ছিল অনেক এলোমেলো। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে মনে হচ্ছিল এই তো উতরে যাচ্ছে। কিন্তু পরোক্ষণেই ছোট ছোট ছিদ্র এসে নাটকটিকে দূর্বল উপস্থাপনায় রূপান্তর করেছে। বৃটেনের নাট্যচর্চায় মোরাদ খানের উপর দর্শকদের ভরসা বেশী ছিলো। মঞ্চ, গেটআপ ছিল চমৎকার। যে দূর্বল দিকগুলো নজরে পড়েছে তা কেবল অনুশীলনের অভাবের কথাই বার বার মনে করিয়ে দেয়। যারা অভিনয় করেছেন তাদের কারোর মুখই অনুপযোগী মনে হয়নি, বরং মনে হয়েছিল- এরা টানা রিহার্সেল করলে প্রত্যেকটি মুখ ঝলসে ওঠতে পারতো।
গল্পটি স্পর্শকাতর। কাহিনীর বেদনার জায়গাগুলো আমরা জানি বলে বেদনাকে অনুভব করেছি। কিন্তু যারা জাহাজী হবার গল্প জানেন না, তাদেরকে এই বেদনা স্পর্শ করবে না। কারণ, বেদনাকে অভিনয়শক্তি দিয়ে সবার করে তুলতে পারেননি। চরিত্রের সল্পতা ছিলো। মঞ্চে নাটকে এরকম হয়ে থাকে। দর্শক মনের কল্পনাশক্তি দিয়ে সেটা পুষিয়ে নেন। মঞ্চ নাটকের ক্ষেত্রে সেটা তেমন কোনো অভিযোগ নয়। কিন্তু পরিচালকের দ্বারা এই কাহিনী নির্ভুল চরিত্র অর্থাৎ সিলেটী চিরত্রের মানুষ খোঁজা বৃটেনের মাটিতে অভাব থাকার কথা নয়। বিলেতের নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশে বড় হওয়া সিলেট অঞ্চলের মানুষের চেয়ে আরো ভালো, অনেক প্রাকৃতিক উচ্চারণ করতে পারেন। বরং বাংলাদেশ থেকে আসা সিলেট অঞ্চলের শিক্ষিতরা ভালো অভিনয় করতে গিয়ে সাবলিল সিলেটী অনেকেই বলতে পারেন না। নিত্যদিনের সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার ফলে তাদের উচ্চারণে মিশ্রণ ঘটেছে। এ তুলনায় বিলেতের নতুন প্রজন্মের কাছে তা অনেক সহজ।
জাহাজিদের জীবনী কোম্পানীর যুগের। সেই যুগকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভাষা ব্যবহারে আরেকটু সতর্ক হওয়া দরকার ছিলো বলে আমরা মনে করি। সে ক্ষেত্রে পোষাক ছিলো যুৎসই। সেসময় সিলেট থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মানুষ যখন কোলকাতায় পৌঁছে সেখানে গিয়েও তারা সিলেটীই বলতেন, অন্য অঞ্চলের ভাষা ব্যবহার করতেন না। ছৈদুল আর হেমাঙ্গীর সংলাপে সেই দূর্বলতা ধরা পড়ে। আবার মুরাদ খান হেমাঙ্গীর সঙ্গী হিসেবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোলকাতার উচ্চারণ আনার চেষ্টা করেছেন। হেমাঙ্গী কোলকাতার মানুষ হিসেবে কোলকাতার টানে কথা না বললেও বাংলা উচ্চারণ ছিল পারফেক্ট। পশ্চিবঙ্গ থেকে পদ্মাপারের মানুষ হিসেবে পূর্ব বাংলার মানুষকে বুঝানো হলেও, সিলেট অঞ্চলের মানুষকেও কি পদ্মা পারের মানুষ হিসেবে তারা চি?িত করেন? সিলেট অঞ্চল তথা আসাম অঞ্চলের মানুষ তো পদ্মা পারের মানুষ নয় তা কী কোলকাতার মানুষদের অজানা? আবার অন্য এক সংলাপে ছৈদুলের পরিচয় দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে। তখন বাংলাদেশ বললে কী বুঝানো হতো? বাংলা বা বাংলাদেশ ছিল বটে কিন্তু সে সময় পুরো ল্যাণ্ড হিসেবে পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম বাংলাকে এক সঙ্গে বুঝানো হতো। সে হিসেবে জাহাজি নাটকে কানুর কণ্ঠে ‘বাংলাদেশের মানুষ’ বলাতে সেসময়ের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি এ নাটক। লেখক এই জায়গায় দর্শকদের ইতিহাসের পর্ব থেকে বিচ্যুত করেছেন। ‘জাহাজি’ নাটকে সময়ের আবহ তৈরীতে এসব ছিলো অন্তরায়। মোরাদ খান তার অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে দর্শকদের ঠকিয়েছেন বলবো না, বলবো তিনি বঞ্চিত করেছেন। বেদনা বা আনন্দ সবার কাছে বাটতে চাইলে তা সবার করে তুলতে হয়। সেটাকে কেবল নিজের ভাবলে চলবে না – এটাই যে কোনো শিল্পমাধ্যমের মূল শর্ত।
জাহাজির লেখক ও পরিচালক মুরাদ খান, সেট ও প্রপস জয়েদ খান, কাস্টম সুমিতা খান, আলোকসজ্জায় মিঠুন আজাদ, প্রডাক্টশন সহযোগিতায় রিশনা হক, মুহাম্মদ আবু হেইচ চৌধুরী, এলাহি হক শেলু, মিউজিকে রোজি সরকার, তারেক মুখার্জী, সুমিতা আলী, ফাতেমা শামীম চৌধুরী, অভিনয়ে আফসানা সালাম, জেবথিক রাজিব হক, মুরাদ খান, আক্তার শেফালী।