প্রচ্ছদ রূপচর্চা লাল লিপস্টিক ব্যবহারের যতো কৌশল

লাল লিপস্টিক ব্যবহারের যতো কৌশল

0
সাজ-পোশাক সব সময় ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে। বয়স, শারীরিক গড়ন, সামাজিক অবস্থান, কখন-কোথায়-কেন-কি কারণে সাজটা হচ্ছে সে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে। ঠোঁটকে না রাঙালে সাজ পূর্ণতা পায়না। তাই ঠোঁটের সাথে মানিয়ে যায় এমন শেড বেছে নিতে পারলেই হলো। মনে রাখবেন বেমানান লিপস্টিক আপনার পুরো সাজকে মাটি করে দিতে পারে। ভেলভেট লাল, ডিপওয়াইন বা যে রঙেরই লিপস্টিক হোক না কেন, গাঢ় লাল রঙয়ের ক্ল্যাসিক লিপস্টিকের সাথে কোনো কিছুরই তুলনা হয়না। জেনে নিন সাজে লাল লিপস্টিক ব্যবহারের যতো কৌশল।

১. ঠোঁটে লিপিস্টিক দেওয়ার আগে মুখের বাকি অংশের কথা ভাবুন। বেসিক নিয়ম হলো যতো বেশি ডার্ক স্কিন ততো গাঢ় রঙয়ের লাল শেড। সাধারণত কমলা, বাদামী অথবা সোনালী রঙগুলো থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার উপযোগী শেড। ঠোঁটকে বেশি আকর্ষণীয় করতে গ্লসি লালও ব্যবহার করতে পারেন।

২. ফর্সা ও মাঝারি স্কিন টোনের ক্ষেত্রে বাদামী লাল বিশেষ করে যেসব লিপস্টিকের সাথে একটু বেরী আছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। একটু বেশি করে ফুটিয়ে তুলতে চেরি রেড বা লিপ গ্লস ব্যবহার করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে যদি উজ্জ্বল লাল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করেন, তবে চোখের সাজ হওয়া উচিত হালকা। চোখ নয়, ঠোঁটই না হয় আপনার হয়ে কথা বলুক।
৩.যাদের ঠোঁট পাতলা তারা উজ্জল শেড বেছে নিতে পারেন। তাতে ঠোঁট জোড়া খানিকটা বর্ধিত লাগবে। আর ঠোঁট বড় হলে একটু বাদামি টিন্টযুক্ত ডার্ক শেড বেছে নিন। কারো দাঁতের রঙ যদি হলুদাভ হয়, তাহলে নীলচে লাল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন, এতে দাঁতের রঙ অপেক্ষাকৃত সাদা দেখাবে। এবং যে কোনো লিপিস্টিকের টোন একটু হালকা করতে আঙুল দিয়ে কয়েক বার ঘঁসে স্বচ্ছ লিপ গ্লস মেখে নিন।
৪.একটি লাল পেন্সিল দিয়ে প্রথমে ঠোঁটের চারপাশটা খুব সচেতনভাবে নিখুঁত করে এঁকে ফেলুন। তারপর পুরো ঠোঁটকে লাল লিপস্টিকে ভরে ফেলুন। প্রয়োজনে একটু এদিক-ওদিক করে ইচ্ছামতো ঠোঁটের আকার দিতে পারেন। ঠোঁটের আকৃতি বেশি পরিবর্তন না করাই ভালো। কারণ তাতে ঠোঁট তো সুন্দর দেখাবেই না উল্টো বিকৃত দেখাতে পারে। আর দুটি ঠোঁট পরস্পরের সাথে চেপে উপর-নিচ করুন যাতে লিপস্টিকটা মসৃণ ভাবে বসে যায় এবং অতিরিক্ত তেল চলে যায়।