প্রচ্ছদ ফ্যাশন পনিটেলে চুলের সাজ

পনিটেলে চুলের সাজ

0
জারিন তাসনিম: চুলের সাজের পুরনো ফ্যাশনের কথা বললেই চলে আসবে পনিটেলের কথা। সত্তরের দশকে পনিটেল খুব জনপ্রিয় ছিল। কিশোরীদের চুল বাঁধতে যেমন পনিটেল করা হতো তেমনি বিভিন্ন রঙিন স্কার্ফ দিয়ে পনিটেল করা তরুণীদের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয় ছিল। খোলা চুলের সাজের প্রচলন হলে ধীরে ধীরে কমে যায় পনিটেলের ফ্যাশন।
কিন্তু এখন আবার ফিরে এসেছে পনিটেল। ক্যাজুয়াল সাজে যেমন পনিটেল চলে, তেমনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও চুলের সাজে চলছে পনিটেল। তবে পনিটেল মানে শুধু চুলের গোড়ায় ব্যান্ড আটকে দেয়া নয়। নানাভাবেই করতে পারেন পনিটেল।
  • সুপার স্লিক লো পনি : ঝরঝরে স্ট্রেট চুলে পনিটেল খুব ভালো মানায়। প্রথমে চুলে অল্প হেয়ার সিরাম লাগিয়ে নিন। এরপর মাথার পেছনে মাঝ বরাবর চুলটা ইলাসটিক দিয়ে আটকে নিন। এরপর এটাকে সাজাতে পারেন বিভিন্ন চুলের ক্লিপ, ফুল বা কাঁটা দিয়ে। শেষ করুন চুলে কিছুটা হেয়ার স্প্রে ছড়িয়ে দিয়ে।
  • বাবল পনি : চুল ব্রাশ করে কিছুটা উঁচুতে তুলে একটি পনিটেল করুন। এবার দুই ইঞ্চি পরপর আরো কয়েকটা ভাগে ইলাসটিক ব্যান্ড আটকে দিয়ে ভেতরটা একটু আলগা করে দিন।
  • কার্লি পনি :যাদের চুল স্বাভাবিকভাবেই কোঁকড়ানো তারা এই পনিটেলে সহজেই সাজে আনতে পারেন জমকালো ভাব। অথবা চুল কার্ল করেও করতে পারেন এই হেয়ারস্টাইল। এ ক্ষেত্রে প্রথমে চুলটা আঁচড়ে এক পাশে পুরোটা নিয়ে আসুন। এবার চুলের গোড়ায় ব্যান্ড আটকে দিন। কপালের দিকে দুই এক গোছা চুল ছেড়ে রাখতে পারেন।
  • সাইড পার্ট পনিটেল : যাদের চুল কোঁকড়ানো নয় তারাও সাইড পনিটেল করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে চুলের লেন্স মাঝারি হলেই বেশি ভালো লাগবে।
  • রোমান্টিক পনি : চুলের লম্বা কার্ল করে নিন। এবার ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে মাঝামাঝি এনে একটি পনিটেল করুন। অল্প চুল নিয়ে পনিটেলের ইলাসটিকের ওপর ছড়িয়ে দিন। এর ওপর সুন্দর হেয়ার পিন দিন বাড়তি আকর্ষণ আনতে।
  • র‌পড পনি : মাঝারি উচ্চতায় পনিটেল করে নিন। এবার দুই সাইড থেকে এক গোছা করে চুল নিয়ে পনিটেলের দুই পাশ থেকে ঘুরিয়ে আনুন। এবার শেষের দিকে এসে ব্যান্ড দিয়ে আটক দিন।
  • ম্যাসি হাই পনি : যেকোনো উৎসবে ম্যাসি হাই পনি নিয়ে আসবে গর্জিয়াস লুক। যাদের চুল ছোট তাদের এই পনিতে ভালো মানাবে। প্রথমেই চুল কার্ল করে নিন। সবার একেবারে উপরে তুলে চুলে পনিটেল করুন। এবার সুন্দর হেয়ার পিন দিয়ে চুলটা আটকে দিন। হেয়ারস্প্রে ছড়িয়ে চুল ছেড়ে দিন।
  • হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে স্বাভাবিক নিয়মে চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল কখনো বেঁধে রাখবেন না। এতে চুল পরা ও ফাঙ্গাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • প্রতিদিন অন্তত এক থেকে দুইবার ভালো করে চুলআঁচড়ে ফেলতে হবে। নরম ও ভালো চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here