প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ত্বকের প্রতি বেশ যত্নশীল। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে রূপচর্চায় ব্যবহৃত জিনিসেরও পরিবর্তন হয়েছে। তবে ত্বকের যত্নে ফলের ব্যবহারের প্রচলন কমেনি। তেমনি একটি ফল কমলা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এ ফলটি ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। ত্বকের যত্নে কমলার কিছু ব্যবহার তুলে ধরা হলো-
ময়েশ্চারাইজার
কমলায় থাকা প্রাকৃতিক তেল আদ্রতা ধরে রাখতে (ময়েশ্চারাইজার) দারুণ কার্যকরী। কমলায় থাকা প্রাকৃতিক সাইট্রিক অ্যাসিড অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে ভালো কাজ করে। এক কাপ বিশুদ্ধ পানিতে কয়েক ফোঁটা তাজা কমলার রস মিশিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এবার একটু নাইট-ক্রিমের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ কমলার রস মিশিয়ে তুলোর বল দিয়ে আলতো করে মুখে-ঘাড়ে-গলায় ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে। ত্বক হবে আরো তারুণ্যদীপ্ত।
ব্ল্যাকহেডস দূর
দুই চা চামচ দই আর এক চা চামচ কমলার খোসার গুঁড়া এক সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকের ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ব্ল্যাকহেডস কমে যাবে।
এক টেবিল চামচ দই, খানিকটা মধু ও এক চা চামচ কমলার খোসা পেস্ট একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগাতে হবে। ১৫ মিনিট পর ত্বক ধুয়ে ফেলে তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুছে ফেলতে হবে। ফলাফল: ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করবে। শুষ্ক ত্বকের বেলায় এই প্যাকে এক চা চামচ অলিভ ওয়েল বা নারিকেলের তেল মিশ্রণ করা যেতে পারে।
মুখের ক্লান্তি দূর করতে
কমলার খোসা পেস্ট, আধা টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া আর আধা টেবিল চামচ মধু মিশ্রণ করে পেস্ট বানাতে হবে। পেস্ট মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষার পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। খুব সহজেই ক্লান্তিহীন সুন্দর ত্বক পাওয়া যাবে।
স্ক্রাবার
কমলার খোসা শুকিয়ে গেলে একে গুঁড়ো করে নিয়ে মধু মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে একে সাধারণ স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে । রাসায়নিক দিয়ে তৈরি করা যেসব স্ক্রাব কিনতে পাওয়া যায় তার তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ ও কার্যকরী এই ঘরোয়া স্ক্রাব।