প্রচ্ছদ ধর্ম সম্মান আল্লাহই দেন

সম্মান আল্লাহই দেন

0
ফিরোজ আহমাদ: পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের নিজস্ব কর্ম অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যই মর্যাদা রয়েছে। আপনার প্রভু তাদের কাজকর্ম সম্পর্কে মোটেই উদাসীন নন।’ (সূরা আনয়াম : ১৩২)। আল্লাহর কাছে মানুষের সম্মানের মাপকাঠি হলো বান্দার নেক আমল এবং বান্দা কর্তৃক সম্পাদিত ফরজ হুকুম পালনের পাশাপাশি যাবতীয় সৎকর্ম।
যার নেক আমলের পরিমাণ যত বেশি হবে, আখেরাতে তার মর্যাদাও তত বেশি হবে। আখেরাতের পুঁজি সংগ্রহকারী ব্যক্তিই প্রকৃত ধনী। দুনিয়ার বাদশাহী আজ আছে, কাল থাকবে না; কিন্তু আখেরাতের জন্য সংগৃহীত সব নেক আমল মজুদ থাকবে। ঈমান আনার পর নেক আমল করার মনোবাসনা বৃদ্ধি পেলে আল্লাহ তায়ালার কাছে বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। আল্লাহ বান্দার প্রতি খুশি থেকে মহাখুশি হতে থাকেন। ফেরশতাদের কাছে উল্লাস প্রকাশ করেন।
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী! আপনি দেখেন, কিভাবে আমি পার্থিব জীবনে তাদের একজনকে আরেকজনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করলাম। অবশ্য মর্যাদার দিক থেকে আখেরাত অনেক বড়, তার ফজিলত অনেকাংশে বেশি।’ (সূরা বনি ইসরাইল : ২১)।
মর্যাদার দিক থেকে আখেরাতের জীবন উত্তম। আখেরাতের জীবনের শুরু আছে, শেষ নেই। অনন্তকালব্যাপী সেখানে থাকতে হবে। পার্থিব জীবনের ধনসম্পদ উপার্জনের চাইতে পরকালের সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাংসারিক কাজকর্মের ফাঁকে নেক আমল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে। পার্থিব জীবনে প্রকাশ্যে ও গোপনে সম্পাদিত সব কর্মের হিসাব নিয়ে আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করতে হবে। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি কেউ মান-মর্যাদা কামনা করে, তাদের জানা উচিত, যাবতীয় মান-মর্যাদা একমাত্র আল্লাহ পাকের জন্যই, তাঁর দিকে শুধু পবিত্র বাক্যই উঠে আসতে পারে, আর নেককাজই তা উচ্চাসনে ওঠায়। যারা সত্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মন্দকাজের ফন্দি আঁটে, তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।’ (সূরা ফাতির : ১০)। ‘আর আল্লাহর কাছে তোমাদের মাঝে সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন হচ্ছে ওই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে বেশি ভয় করে।’ (সূরা হুজরাত : ১৩)।
লেখক : প্রবন্ধকার

 

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৬৩৮ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল কাস্ত্রোকে
পরবর্তী নিবন্ধউত্তর ইউরোপের প্রথম নারী ইমাম মারিয়াম মসজিদের শিরিন খানকান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here